ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘স্বতন্ত্র’ জামায়াতের আসনভিত্তিক পাঁচ কমিটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
‘স্বতন্ত্র’ জামায়াতের আসনভিত্তিক পাঁচ কমিটি

চট্টগ্রাম: অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগে অভিযুক্ত ও নিবন্ধন বাতিল হওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপরও ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীর মোড়কে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছে দলটি। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে জামায়াত। আর এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি সংসদীয় আসনে পাঁচ স্তরে কমিটি করে পুরোদমে কাজ করছেন দলটির নেতারা।

 

সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে ও অভিযানে জব্দ করা অসংখ্য নথিপত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানা গেছে।  

নগর পুলিশের (সিএমপি) নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

সূত্র বলছে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য জামায়াতের করা এসব কমিটিতে রয়েছেন জামায়াত নেতা, ছাত্র প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি, মহিলা প্রতিনিধি ও ছাত্রী প্রতিনিধি।  

পড়ুন>> খুলনা বিভাগে ১৫ আসনে 'স্বতন্ত্র' প্রার্থী চায় জামায়াত

এছাড়া ১০১, ৫১ ও ১১ সদস্যের এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে স্থানীয় জামায়াতের আমির, জামায়াত সমর্থিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি-উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমপির একজন উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে জামায়াতের পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নথি আমাদের হাতে এসেছে। তাদের বিভিন্ন পরিকল্পনাসহ তথ্য সেখানে রয়েছে। নির্বাচন কাজে তারা বিভিন্ন কমিটি করেছে বলে নথিতে উল্লেখ রয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র কৌশলে নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া জামায়াতের করা পাঁচ স্তরের কমিটিগুলো হচ্ছে- আসন কমিটি, উপজেলা-থানা নির্বাচন কমিটি, পৌরসভা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড কমিটি, ভোট কেন্দ্র কমিটি এবং গ্রাম-মহল্লা কমিটি।  

এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার জন্য তহবিলও গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল গঠনে নিয়মিত তোলা হচ্ছে বায়তুল মাল ও বিশেষ নির্বাচনী বায়তুল মাল। করা হয়েছে নির্বাচনী ক্যাশবুকও।  

কর্মকর্তারা জানান, ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের আড়ালে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। নির্বাচনের আগে জামায়াত নেতারা নিয়মিত ছাত্র ও যুব সমাবেশ, মহিলা ও ছাত্রী সমাবেশ, বাজারভিত্তিক শ্রমিক সমাবেশ ও পুরুষ সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছেন।  

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াতের কার্যক্রম পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজন নেতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক কোনো কর্মকাণ্ড যাতে তারা করতে না পারে সেদিকে নজর রয়েছে আমাদের।  

তিনি বলেন, শুধু জামায়াত-ই নয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউকে-ই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।