ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খুলনা বিভাগে ১৫ আসনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী চায় জামায়াত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
খুলনা বিভাগে ১৫ আসনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী চায় জামায়াত

খুলনা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াত। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দলটির নিবন্ধন এরইমধ্যে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাতে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও হারিয়েছে দলটি। আর তাই দলটি ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

জামায়াতের বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, ২০ দলীয় জোটের কাছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ১৫টি আসন চাইবে তারা।

যেকোনো মূল্যে নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করতে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামবে দলটি।

তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, জামায়াত জোটের বড় শরিক দল হলেও তাদের আগের সেই অবস্থা নেই। যে কারণে তাদের দাবি পুরোপুরি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়ায় ও অধিকাংশ নেতা কারাগারে থাকায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছে দলটি। সবশেষ সম্প্রতি সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী দল হিসেবে নিবন্ধনও বাতিল হয়ে যাওয়ায় দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে তারা তাদের প্রতীক নিয়েও ভোটে দাঁড়াতে পারবে না। কেবল একমাত্র তাদের অবলম্বন ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা।

যদিও জামায়াত নেতারা বলছেন, তাদের দাবিকৃত আসনগুলোতে এখন শক্ত অবস্থানে আছে। বিগত দিনে এসব আসনের অনেকটিতে একাধিকবার জামায়াত বিপুল ভোটে জিতেছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বাংলানিউজকে জানান, ২০ দলীয় জোটের বৃহৎ শরিক দল হিসেবে খুলনা বিভাগে ১৫টি আসন দাবি করবে। আসনগুলো হলো: খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া): অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা): মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল): অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ-সরনখোলা): অধ্যক্ষ আবদুল আলীম, যশোর-১ (শার্শা): মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা): আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন, যশোর-৫ (মনিরামপুর): অ্যাডভোকেট এনামুল হক, যশোর-৬ (কেশবপুর)- অধ্যাপক মুক্তার আলী, সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া-তালা): অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ (সদর): মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-দেবহাটা): মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ (কালিগঞ্জ-শ্যামনগর): গাজী নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) মুহাম্মদ আবদুল গফুর, চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা-জীবন নগর): অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর): অধ্যাপক মতিয়ার রহমান।

জানা গেছে, খুলনাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় একসময় জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি থাকলেও পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম নেই। সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, বাগেরহাটের বেশ কিছু এলাকায় একসময় জামায়াতের খুব শক্ত অবস্থান ছিলো। সেই দুর্গে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে দলটি। এলাকায় অবস্থানহারা হলেও কৌশলে চলছে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা। চলছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব প্রার্থীদের জেতাতে যাবতীয় প্রস্তুতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তারা সরব প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।