ঢাকা: ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের প্রায় সাড়ে নয় মাস পরও রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে বড় ধরনের কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এমনকি জুলাই সনদও চূড়ান্ত করতে পারেনি।
তবে জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই চার্টার (জুলাই সনদ) সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সরকার।
একই বক্তব্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেরও। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলছেন, প্রতিদিন কিছু কিছু বিষয়ে অগ্রসর হচ্ছি। আলোচনার অত্যন্ত ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা আশা করছি, জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদে পৌঁছাতে পারবো। সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
এদিকে সংস্কারে বিষয়ে ঐকমত্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের বৈঠক চলমান। মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন ও দ্বিমত রয়েছে। বিএনপি বলছে, সংস্কার ও ঐকমত্য কমিশনের কাজের ব্যাপারে এখনই সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি নিয়ে তারা মন্তব্য করবে না। তবে সবার একমতের মধ্য দিয়ে জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ সই হবে।
নতুন দল এনসিপি সরকারের ও কমিশনের কিছু কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবারের বৈঠকে অংশ নেয়নি।
ছাত্রজনতার তীব্র আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
জনগণের প্রবল প্রত্যাশার মুখে এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। প্রথম পর্বে গঠিত সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তী সময়ে বাকি কমিশনগুলোও প্রতিবেদন দেয়।
এদিকে জুলাই সনদ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুরুর দিকে তারা নিজেরাই রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে সব রাজনৈতিক দল ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অংশীজনের সর্বসম্মতিক্রমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে বলে জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।
এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে, সেগুলো চিহ্নিত করা ও বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।
পরে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ কমিশনকে ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে তাদের সুপারিশমালা চূড়ান্ত করার জন্য। এর তিনদিন পর বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে সংস্কার কমিশনগুলোর বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রতিবেদনে সংস্কার প্রশ্নে ১৬৬টি সুপারিশের ওপর ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানায় ঐকমত্য কমিশন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে তাদের মতামত দাখিল করে। তবে অনেক বিষয়ে দ্বিমত দেখা দেয় দলগুলোর মধ্যে। সে বিষয়গুলো নিরসনে বার বার রাজনৈতিকদলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয় ঐকমত্য কমিশন।
৪ জুন বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স–২০২৫’–এর প্রাথমিক খসড়া নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, অনেকে বলেন, আমরা সংস্কার করছি না। আবার কেউ বলেন, আমরা অনেক সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, কিছুই হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে সংস্কারের কাজ চলছে। আমরা সিপিসি (কোড অব সিভিল প্রসিডিউর), সাইবার সুরক্ষা আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করেছি। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিধান পরিবর্তন করেছি। জুডিসিয়াল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালাও পরিবর্তনের পথে।
পুলিশ বাহিনীতে জবাবদিহি আসিফ নজরুল বলেন, পুলিশের তদন্ত আর পুলিশ নিজে না করে, সেটি যেন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা করে—সে লক্ষ্যে একটি পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও কিছু আইনি সংস্কার ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বড় ধরনের কোনো সাংবিধানিক সংস্কার সরকার করবে না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, যেসব সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন, বিশেষ করে সংবিধান পরিবর্তন, সেসব বিষয়ে আমরা অপেক্ষা করছি। জুলাই চার্টার জুলাই মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, সমাজে সংস্কারের যে প্রত্যাশা ও চাপ রয়েছে, তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা যথেষ্ট নয়। আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে; কিন্তু আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠা। আমরা চাই, শাসকেরা যেন কারও জীবন বিপন্ন না করে; মানুষ যেন মামলার জটে পড়ে সর্বস্বান্ত না হন এবং নাগরিকেরা যেন তাদের স্বাধীনতা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন।
এদিকে ১৭ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ড. ইউনূস তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও বলেন তিনি। এর আগে ২ জুন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘দূরত্ব কমিয়ে’ ঐকমত্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফা আলোচনার উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে , দূরত্ব কমিয়ে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে পারবো। ’
মৌলিক সংস্কারে বেশিরভাগ বিষয়ে দলগুলোর মত পার্থক্য রয়েছে। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আলোচনার ধারাবাহিকতায় ৭০ অনুচ্ছেদের দুইটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। সেই দুটি বিষয় হলো- আস্থা ভোট ও অর্থ বিল। এর বাইরে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে দলের বিপক্ষেও। এর বাইরেও বিএনপির আরেকটা অবস্থান রয়েছে সংবিধান সংশোধনে ভোটদানের বিষয়ে, এটা কয়েকটি দলেরও। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়েও (যুদ্ধপরিস্থিতির ক্ষেত্রে) সংসদ সদস্যরা স্বাধীন থাকবে না। সিদ্ধান্ত হয়েছে, অর্থ বিল ও আস্থা ভোটের বিষয়ে সনদে উল্লেখ থাকবে। সবাই স্বাক্ষর করতে পারবেন। স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধীদলের আসনের সংখ্যা অনুপাতে হবে। এ বিষয়েও সবাই একমত হয়েছে। এখন নারী আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। একশ নারী আসন সংরক্ষণ নিয়ে সবাই মোটামুটি একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
কমিশনের কাজে সন্তুষ্ট কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সন্তুষ্ট হবো কি হবো না সেটা আলোচনার পরে হবে। তবে আমরা চাই জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হোক। আমরা সবাই একটা জায়গায় আসি এবং সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন গন্তব্য পৌঁছে সেই শক্তিশালী গণতন্ত্র বির্নিমাণ করি। সবাই যেন মিনিমাম জায়গায় এসে সংস্কারের বিষয় সমাপ্ত করতে পারি এবং জুলাইয়ের মধ্যে যেন জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ঐক্যমত কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা একটি প্রস্তাবের দিকে হেলে যান। যে প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। ফলশ্রুতিতে আমরা মনে করি, কমিশন যে পদ্ধতিতে আগাচ্ছে, নির্বাচনে এবং ঐকমত্য কমিশনে কোন কোন বিষয়গুলো থাকবে সে বিষয়ে তাদের অবস্থান কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিএনপির প্রস্তাব ছিল পরের সংসদে রেটিফাই করা। সেদিকে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য একদিকে হেলে যায়। ২৪ থেকে ২৮টি দলকে ডাকা হচ্ছে। কিসের ভিত্তিতে ডাকা হচ্ছে , কমিটি আছে কি আছে না, নিবন্ধন আছে কি আছে না, সে বিষয়গুলো সু স্পষ্ট না। কারণ দেখেছি, অনেকগুলো দল সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয় না। শুধু একটি দলের পক্ষে হ্যাঁ-না বলে থাকে।
এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হক নুর বলেন, যদি দৃষ্টিভঙ্গি রাখে এই পার্টি বড়, এই পার্টি মেজরিট পার্টি। তাহলে অন্যদের কথার গুরুত্ব থাকে না। ঐকমত্য কমিশন বা সরকারের ভূমিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে। কিংবা কোনো কোনো দলের প্রতি বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা হলে এই সংস্কার ও এই সময়ের সার্বজনীন বিষয়টা মনে হয় হারিয়ে যাবে।
এনসিপি ও গণ অধিকারের এমন দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, এটা তাদের মনে হয়েছে তারা বলেছে। আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে সমভাবে মর্যাদা দেওয়া ও বিবেচনা করার।
দুই দলের দুই নেতার বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বলেছি, কোন বিষয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ঐকমত্য ধরে নিলে হবে না। ঐকমত্য হতে হবে বিষয়গুলোতে সব দলের এক মতের ভিত্তিতে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলো যে প্রস্তাব দেবে আর সেগুলোকেই ঐকমত্য ধরে নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন সেটা হবে না। জুলাই সনদে সবাইকে একমত হতে হবে। আর আমরা যে প্রস্তাবগুলো করতে পারি এবং করব সেগুলো বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সংসদ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, সব বিষয়ে আলোচনা চলছে, একটা ঐকমত্যে আসা যাবে বলে আশা করছি। সংস্কারের কিছু কিছু বিষয়ে মেজর মতপার্থক্য আছে। যেগুলো মেজর পার্থক্য থাকবে ঐকমত্যে আসা সম্ভব হবে না, সেগুলো নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদ ঘোষণা যদি ঐকমত্যে না হয় তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে আমরা মনে করি। এখানে ঐকমত্য বলতে সব বিষয়ে সবাইকে একমত হতে হবে।
ইএস/এজে