ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৮ উপলক্ষে লেখক ঐক্যের ১৪ প্রস্তাব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৮ উপলক্ষে লেখক ঐক্যের ১৪ প্রস্তাব সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরছেন বাংলাদেশ লেখক ঐক্যের নেতারা

ঢাকা: আসন্ন একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৮ সামনে রেখে গ্রন্থমেলায় লেখকদের প্রতিনিধিত্ব  নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে দেশের লেখকের অংশগ্রহণ, লেখকের সম্মানী নিয়ে অভিযোগ মীমাংসার জন্য আইনি সেল ইত্যাদি ১৪টি প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ লেখক ঐক্যের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

তবে গ্রন্থমেলা সংশ্লিষ্ট নয় এ রকম আরও চারটি প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয় এ সময়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন লেখক ঐক্যের সভাপতি রাখাল রাহা।

লেখক ঐক্যের ১৮টি প্রস্তাবনা হলো, মেলার আয়োজনের শুরু  থেকে  শেষ পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়ায় লেখকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলা একাডেমির উদ্যোগে প্রথম তিন দিন আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন বা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন দেশের লেখকরা এতে অংশ নেন। এ সম্মেলনের যথাযথ প্রচারণা চালাতে হবে।  

বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল সকল নবীন-প্রবীণ লেখকের অংশগ্রহণের বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।

লেখক সম্মানীর বিষয়ে অভিযোগ পেশ  ও মীসাংসার জন্য মেলা প্রাঙ্গণে স্বতন্ত্র  আইনি সেল বা বুথ খুলতে হবে।

লেখকের সঙ্গে চুক্তি না করে বই প্রকাশকারীদের স্টল বরাদ্দ দেওয়া  যাবে না।

যে বই রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ নয় তার প্রদর্শন ও বিক্রির ওপর  কোনো ধরণের পুলিশ বা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ  করা যাবে না।

মেলাকে পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক করতে হবে।

শিশু কর্ণারকে আরও আকর্ষণীয়  করে তারা যেন স্বাভাবিকভাবে হাঁটা চলা করতে পারে সেভাবে নকশা তৈরি করতে হবে।  

লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে অসঙ্গত যাবতীয় প্রকাশনার প্রদর্শন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

বিশিষ্ট লেখকের জন্য আলাদা স্টল তৈরি হতে পারে। ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে বাংলা একাডেমির মতো  সবার জন্য সাধারণ ছাড় ত্রিশ শতাংশ করা যেতে পারে।    

রাত সাড়ে আটটা থেকে সময় বাড়িয়ে সমাপ্তির সময় সাড়ে নয়টা করা যেতে পারে।

বিশ্রামের জন্য বসার ব্যবস্থা, বিশেষায়িত খাবারের দোকান এবং বিশুদ্ধ পানি  ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।

লেখক প্রকাশকসহ আগত সব মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য হয়রানিমুক্ত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নবীন প্রকাশকদের  আরও কম ভাড়ায় স্টল বরাদ্দ দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি শওকত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গবেষক ফাহমিদুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
ইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।