ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সাহেব মোসাহেব | মহিউদ্দীন আহ্‌মেদ

গল্প ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
সাহেব মোসাহেব | মহিউদ্দীন আহ্‌মেদ

সাহেব বড়ই পেটুক স্বভাবের। অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া তাঁর প্রিয় অভ্যাস।

আর এই কাজে তাঁর প্রধানতম কৌশল হলো কোনো কোনো কর্মচারীকে হঠাৎ ছুটি দিয়ে দেওয়া। কর্মচারীদের জন্য এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!

কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে ছুটি দেওয়ার সময় সাহেব সুকৌশলে ভ্রমণ বিষয়ক কিছু কথা বলেন। যেমন, ভ্রমণ হচ্ছে কাজের প্রেরণা, মনের ফূর্তি ইত্যাদি। তবে তাঁর মতে, সব ভ্রমণ আদর্শ ভ্রমণ নয়। শহর থেকে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে যে যাত্রা, তা-ই হচ্ছে আদর্শ ভ্রমণ।

এখানে বলে রাখা ভালো, এ ধরনের পরামর্শ দেওয়ার পেছনে অন্তর্নিহিত একটি কারণ রয়েছে। সেটি পরে বলছি।

এ যাবতকালে অফিসের অনেককেই সাহেবের এই অভিনব কৌশল-জালে আটকা পড়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও আদর্শ ভ্রমণের স্বাদ নিতে গিয়ে মোটা অংকের টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে।   

এবার সরফরাজের পালা।



দশ হাজার টাকার কড়কড়া নোটগুলো পকেটে ভরতে ভরতে সরফরাজ ভাবে, সঠিক সময়ে মোক্ষম সুযোগটি নিতে পারাও বুদ্ধিমানের কাজ। এ শিক্ষা হাই স্কুলের পণ্ডিত স্যার ননীগোপাল ভৌমিক বহুদিন আগেই দিয়েছিলেন। নিজের শিক্ষকের একটি শিক্ষা বাস্তবায়িত করতে পেরে সরফরাজের বুকটা প্রসারিত হয়ে ওঠে।

ঘটনার আকস্মিকতায় পিলে চমকে যায় সাহেবের। ইতোপূর্বে কেউ এমন কর্ম করতে সাহস পায়নি। অর্থাৎ সাহেব টাকা বাড়িয়ে দিলেও তা কেউ ধরেনি। সবাই বলেছে, টাকা দিয়ে লজ্জা দিবেন না স্যার, আপনাকে কিছু দিতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করব ইত্যাদি।



মাস তিনেক আগে মফস্বল থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় এসেছে সরফরাজ। তার অনন্য পারফরমেন্সে সাহেব মহাসন্তুষ্ট। যথারীতি তার ডাক পড়ে সাহেবের চেম্বারে।
 
সাহেব সরফরাজের সঙ্গে উচ্ছ্বসিতভঙ্গিতে করমর্দন করতে করতে খোশবু মেশানো সুনাম ছড়িয়ে দেন। এমন পরিস্থিতিতে বরাবরই অধস্তন কর্মচারীদের ক্ষেত্রে যেটা হয়ে থাকে—তারা লজ্জায় লাল হয়ে যায়, কেউ কেউ বসের পা ছুঁয়ে সালাম করে, এমনকি আবেগ কন্ট্রোল করতে না পেরে অতি আনন্দে কেউ কেউ কেঁদেও ফেলে। কিন্তু সরফরাজকে অবিচল থাকতে দেখে সাহেব কিঞ্চিৎ বিস্মিত হন।

সাহেব বলে চলেন, অনেকটা ছাঁচে বসানো ও পূর্বব্যবহৃত বাক্যলিপি: সরফরাজের মতো পাংচুয়াল ও ডেডিকেটেড কর্মী এই অফিসে দ্বিতীয় কেউ নাই, মানুষ হিসেবে সে সদাচারী, তার প্রতিটি পদক্ষেপ সম্ভাবনাময়, তার প্রতিটি মুভমেন্ট কর্মময় ও গতি সম্পন্ন ইত্যাদি।

এ যে সুনাম নহে; রীতিমতো সুনামি!

কিন্তু অতিব বিস্ময়ের ব্যাপার হলো—এমন হৃদয়গ্রাহী সুনামের বৃষ্টিপাতেও সরফরাজ টলে না, বরং নির্বিকারভঙ্গিতে সাহেবের দিকে তাকিয়ে থাকে।

সরফরাজকে জানানো হয়, তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে অফিস এক সপ্তাহের ছুটি মঞ্জুর করেছে। তবে শর্ত থাকে যে, এই ছুটি উপভোগ করতে হবে ভ্রমণের মাধ্যমে। এরপর যথারীতি আদর্শ ভ্রমণ প্রসঙ্গ। অর্থাৎ শহর থেকে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে যে যাত্রা, তা-ই হচ্ছে আদর্শ ভ্রমণ...

জীবনে আনন্দের মুহূর্ত বারবার আসে না। আর যখন তা একবার আসে, উপভোগ করে নিতে হয়। তাই ছুটি কথাটি শোনার সাথে সাথে সরফরাজের চোখের সামনে ছবির মতো ভেসে ওঠে গাজীপুরের নিশ্চিন্তপুরে অবস্থিত সবুজে-শ্যামলে ছাওয়া শ্বশুর বাড়িটি। ইদানীং বউয়ের সাথে টিভি সিরিয়ালের মতো খুঁনসুঁটির পর খুঁনসুঁটি লেগেই চলেছে। বউ একদিন কন্ট্রোলে থাকছে তো পরবর্তী দুই দিন কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনোভাবেই আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না। ফলে দাম্পত্য জীবনের টক-ঝাল-মিষ্টি জীবনের অবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য এরকম একটা ছুটি সত্যিই দরকার ছিল। তাই সে সাহেবকে বিগলিতভঙ্গিতে ধন্যবাদ জানায় এবং অপ্রত্যাশিত এই ছুটির বার্তা সাহেবের প্রতি সরফরাজকে আরো বেশি বিনয়ী করে তোলে।

কিন্তু এই ধাঁচের সাহেবরা বড়ই চালবাজ। তারা জানেন, কখন কোন চালটি দিতে হয় এবং কিভাবে অন্যকে কুপোকাত করতে হয়। ফলে তিনি হালকা আড়মোড়া ভাঙেন। আলতো হাত বোলান টাক মাথায়। তারপর কোল্ড কফির মগে চুমুক দিয়ে পিটপিটে চোখে সরফরাজের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে আসল চালটি চেলে দেন। অর্থাৎ সরফরাজের গ্রামের বাড়িতে দেশি মাছ-টাছ আছে কি-না? 

থাকবে না কেন? অবশ্যই আছে। সফরাজ তার সাহেবকে আশ্বস্ত করে। দেশটা তো এখনো সুজলা, সুফলা নিভৃত পল্লী। তাই না স্যার? ঢাকা শহরের কাচঘেরা ঘরে বসে কি জানা যায়—গ্রামে এখনো কতটা সবুজ তরি-তরকারি ফলে? কিংবা কড়া রোদের সময় দেশি মাছ এখনো কতটা আনন্দে এবং কতবার তাদের ফুলকা উঁচিয়ে ঝিলিক দিয়ে ওঠে?

শুনে সাহেবের খুশি কে দেখে! অতি উত্তেজনায় সাহেব রিভলভিং চেয়ারসমেত নড়েচড়ে ওঠেন। চিকচিক করে ওঠে তাঁর লোভী চোখ দুটি, আছে? সত্যিই আছে, শিং, মাগুর, কই, পাবদা?

কেন নয়? যতদিন রবে নদী, খাল-বিল-হাওর, ততদিন রবে পানি। এগুলো যে মাছেদের নিবাস। আপন নিবাস ছেড়ে কোথায় যাবে মাছেরা?

ও তাই? প্রীত প্রীত! আহ! কতদিন খাই না এমন মাছ! চাষের মাছ খেয়ে খেয়ে কিডনির অবস্থা নাস্তানাবুঁদ। সব মাছ আমার চাই সরফরাজ।

স্যার আপনার বাসার ফ্রিজ কত সেফটি?

ও নিয়ে ভেব না। প্রয়োজনে নতুন ফ্রিজ কেনা হবে। তুমি নিয়ে এসো যত পারো।

উচ্ছ্বসিত ও দিশেহারা সাহেব সঙ্গে সঙ্গে সৌজন্যবশত পকেট থেকে দশ হাজার টাকা বের করে সরফরাজের দিকে বাড়িয়ে ধরেন।
 
কিন্তু তিনি যতই উচ্ছ্বসিত ও দিশেহারা হয়ে টাকা বাড়িয়ে দেন না কেন, হাতটা গুটিয়ে রাখেন নিজের দিকেই। ফলে টাকাটা নিতে সরফরাজের বেশ বেগ পেতে হয়।

দশ হাজার টাকার কড়কড়া নোটগুলো পকেটে ভরতে ভরতে সরফরাজ ভাবে, সঠিক সময়ে মোক্ষম সুযোগটি নিতে পারাও বুদ্ধিমানের কাজ। এ শিক্ষা হাই স্কুলের পণ্ডিত স্যার ননীগোপাল ভৌমিক বহুদিন আগেই দিয়েছিলেন। নিজের শিক্ষকের একটি শিক্ষা বাস্তবায়িত করতে পেরে সরফরাজের বুকটা প্রসারিত হয়ে ওঠে।

ঘটনার আকস্মিকতায় পিলে চমকে যায় সাহেবের। ইতোপূর্বে কেউ এমন কর্ম করতে সাহস পায়নি। অর্থাৎ সাহেব টাকা বাড়িয়ে দিলেও তা কেউ ধরেনি। সবাই বলেছে, টাকা দিয়ে লজ্জা দিবেন না স্যার, আপনাকে কিছু দিতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করব ইত্যাদি।

সরফরাজ টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পর সাহেব দরদর করে ঘামতে থাকেন। পিয়ন এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দেওয়ার পরও তাঁর ঘাম শুকানোর লক্ষণ দেখা যায় না।

তিনি টেকো মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে দশ হাজার টাকার জন্য হাপিত্যেস করতে থাকেন।

দুই.
নানান কসমেটিকস এবং ইয়া বড় একটা রুই মাছ নিয়ে ফুরফুরে মনে বাসায় ফেরে সরফরাজ। এতসব জিনিস দেখে সরফরাজের স্ত্রী রোমেনা তাজ্জব; খুশিতে আটখানা।

স্ত্রী’র খই ফোটা খুশির রেখা শেষ হতে না হতেই সরফরাজ ঘোষণা করে: আগামীকাল তারা গাজীপুর যাচ্ছে। খবরের হেডলাইন শুনে রোমেনা যেন লাফিয়ে ওঠে।

আশু রাতটাকে মোহময় করার জন্য যা যা করার দরকার সরফরাজ অলরেডি তা করে ফেলেছে। এমন একটি সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মনে মনে আবারো সাহেবকে ধন্যবাদ জানায় সরফরাজ।

রোমেনা বলে, “কিগো, তুমি এত ভালো হয়ে গেলে যে?”
সরফরাজ বলে, “আজ তোমাকে জোসনা দেখাব। ”
 
পরদিন অনাদর্শ (!) ভ্রমণের পথে যাত্রা করে সরফরাজ দম্পতি।

শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকার অভ্যর্থনা ও আপ্যায়নে মধুর দিন শুরু হয়। বিশেষ করে চটপটে শ্যালিকা সোহেলীর কথা উল্লেখ না করলেই নয়। কারণ সোহেলীর হাত ধরে চিরায়ত বাংলার নদী, মাঠ, ফুল, পাখি দেখা হয় নতুন করে। আরো আছে ভুঁড়িভোজ। পিঠা-পায়েস, কোরমা-পোলাও ইত্যাদি। সে এক এলাহি কাণ্ড। দিন কেটে যেতে থাকে স্বপ্নের মতো।

সরফরাজ ভাবে, সুখ মোটেও সোনার হরিণ নয়। এই ধরাতলে পলেপলে সাজানো সুখের ঢিঁবি হতে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সুখ আহরণ করতে হয়।

শ্বশুরবাড়িতে সুখের সাগরে ভাসতে ভাসতে সরফরাজের মনে হয়, আহা এত সুখ কোথায় ছিল? 

স্বপ্নেরও শেষ আছে।

ছুটি শেষ হয়ে আসে। সরফরাজের মনে পড়ে সাহেবের কথা। নিশ্চয়ই সাহেব মাছের জন্য পথ চেয়ে বসে আছেন। ফলে শ্যালিকা সোহেলীকে নিয়ে সম্পূরক ভ্রমণে যাত্রা করে। গন্তব্যস্থল মৎসপল্লী।

চিরায়ত মৎসপল্লী বলতে যা বোঝায়, তার ছিটেফোঁটাও নেই সেখানে। মাছের গন্ধের পরিবর্তে বিড়ি আর গাঁজার ভুশভুশে গন্ধে সাঁতার কাটতে কাটতে শ্যালিকা-দুলাভাই পৌঁছায় মৎসপল্লীর অন্দরমহলে।

বিশেষ বৈঠক বসে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। ক্রেতা বিশেষ উপায়ে জ্যান্ত মাছ শহরে নিয়ে যাবেন। এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া হয় জেলেদের কাছে। জেলেরা সরফরাজকে আশ্বস্ত করে, তারা সহযোগিতার ব্যাপারে কার্পণ্য করবে না। ফলপ্রসূ বৈঠক শেষে শ্যালিকা-দুলাভাই বাড়ি ফেরে।
 
ফেরার পথে শ্যালিকা জানায়, তাদের গ্রামটি একেবারে বদলে গেছে। এখানকার উঠতি ছেলেপেলেরা কোনো কিছুর পরোয়া করে না। যখন-তখন শিস বাজিয়ে দেয়। মাঝে মাঝেই বিব্রত হতে হয় তাকে। সরফরাজ শ্যালিকাকে বলে, ইন্টার পরীক্ষার পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হবে। হ্যাংলো ছেলেরা শত চেষ্টা করেও সোহেলীর টিকিটিও নাগাল পাবে না।

সরফরাজ সাহেবকে ফোন করে গাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলে। সাহেব কখনোই যে কাজটি করেন না সেটি হলো, নিজের গাড়িটি কাউকে দেওয়া। কিন্তু বাধ্য হয়ে তাকে তা করতে হয়। কারণ তারই জন্য আনা হচ্ছে দেশি মাছ।
 
অফিস শেষে দীর্ঘকাল পর সাহেব বাসায় ফেরেন রিকশাযোগে। তবুও কোনো ক্লন্তি নাই। অবসাদ নাই। কারণ গাড়ি গেছে মাছ আনতে। কিসের ক্লান্তি?

তাঁর মনের অবস্থা তাথৈ তাথৈ। বারবার ফোন করে জানতে চান, মাছ পেয়েছে কিনা, মাছ কত বড়, কী মাছ, সে কত দূর পর্যন্ত এসেছে ইত্যাদি। সরফরাজ ফোনে বিশেষ কিছু বলে না। হালকা রহস্য করে। বলে, সে এলেই দেখা যাবে সবকিছু। সাহেব ভাবেন, বড়ই রহস্যময় যুবক সরফরাজ। না হলে কি সাহেবের সাথে এভাবে খেলা করতে পারে?

সরফরাজের এমন মিষ্টি রহস্য সাহেবের ভালোলাগে খুব।
 
সাহেবের সময় আর কাটে না! বারবার রাস্তার দিকে উঁকিঝুঁকি মারেন। হেঁড়ে গলায় গানের কলি ভাঁজেন। ব্যস্তভঙ্গিতে পায়চারি করেন। এ যেন দুরন্ত যৌবনের দিনগুলিতে প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের অপেক্ষা। তিনি তার চোখ দুটো বারান্দার গ্রিলে বেঁধে রাখেন। কখন দেখা যাবে মাছভর্তি সিলভার কালারের প্রাডোটি—এই আশায়।
  
অবশেষে বেজে ওঠে প্রত্যাশিত কলিংবেল। সাহেব চড়ুই পাখির মতো ফুড়ৎ করে দরজার কাছে যান। দ্রুত খুলে দেন দরজা। দেখতে পান ড্রাইভার একটি কাচের জার হাতে দাঁড়িয়ে। জারের মধ্যে অসংখ্য চ্যাং মাছ ছুটোছুটি করছে। সাহেব ছানাভরা গোল গোল চোখে জারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি এসব কী দেখছেন! দৃষ্টিভ্রম হচ্ছে কি? চশমা খুলে চোখ কচলে নেন। না, যা আছে জারে—তিনি তাই দেখছেন। অনেকগুলো চ্যাং মাছ ছুটোছুটি করছে।

তাঁর চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। তিনি মূর্ছা যান।



বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।