আসছে নভেম্বরে স্পেনের বিলবাও শহরের সান মামেস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ফিলিস্তিন জাতীয় দল ও বাস্ক জাতীয় দল। ম্যাচটির মূল উদ্দেশ্য হলো, গাজা উপত্যকায় নিহত নিরীহ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘কাদেনা সের’-এর তথ্য অনুযায়ী, বাস্ক ফুটবল ফেডারেশন ও ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছর বিশ্বকাপের প্লে-অফের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল ফিলিস্তিন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ধারাবাহিক উন্নতির পর এই প্রীতি ম্যাচ তাদের জন্য এক বিশেষ গৌরবের উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, এই আয়োজন তাদের কাছে উদযাপনের মতো বিষয়।
স্পেনে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ এখন নিয়মিত ঘটনা। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আতলেতিক ক্লাবের সমর্থকেরা বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানায়। ব্যানারে ফিলিস্তিনি পতাকার সঙ্গে বাস্ক ভাষায় লেখা ছিল— ‘আমরা আজ থেকে শেষ দিন পর্যন্ত তোমাদের পাশে থাকব। ’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে স্পেনে বিক্ষোভ-বিতর্ক তীব্র আকার নিয়েছে। দেশটি গত বছরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ প্রকাশ্যে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে স্পেনের জনপ্রিয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা লা ভুয়েলতা আ এস্পানার কয়েকটি ধাপ বাতিল করতে বাধ্য হয় এবং শেষ দিনে মাদ্রিদে প্রবেশ স্থগিত করে—ইসরায়েলি একটি দল অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদের কারণে।
তবে সবার অবস্থান এক নয়। মাদ্রিদ অঞ্চলের সরকারপ্রধান ইসাবেল দিয়াজ আয়ুসো সম্প্রতি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। এমনকি রিয়াল মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বের্নাবেউ স্টেডিয়ামে মার্শেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে প্রবেশের সময় সমর্থকদের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা কেড়ে নেওয়া হয় এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ আক্রমণ করে।
এমএইচএম