ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ফুটবল

‘বার বার..এতবার..’ প্রত্যাবর্তন বিশ্বাস করতে পারছেন না আনচেলত্তিও

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
‘বার বার..এতবার..’ প্রত্যাবর্তন বিশ্বাস করতে পারছেন না আনচেলত্তিও

দারুণ এক রাত কাটালো রিয়াল মাদ্রিদ। এমন অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন অবশ্য নতুন নয় তাদের জন্য।

তারপরও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কার্লো আনচেলত্তি। এমন অর্জনের পেছনে সমর্থকদের অবদান দেখছেন তিনি, সঙ্গে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন খেলোয়াড়দেরও।

৬৮তম মিনিটে আলফোসনো ডেভিসের গোলে এগিয়ে গিয়ে ৮৮তম মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রেখেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। খাদের কিনার থেকে দলকে তুলে নিয়ে তিন মিনিটের মধ্যে দুইটি গোল করলেন বদলি হয়ে নামা হোসেলু। আনন্দে ভাসালেন সবাইকে। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গেই মাঠেই লুটি পড়লেন তিনি আর জানান দিলেন অবিশ্বাস্য এই প্রত্যাবর্তন গল্পের।

২০২১-২২ মৌসুমেই একই গল্প লিখেছিল রিয়াল। ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে সেবার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল তারা। তাইতো এমন কামব্যাক নতুন নয় আনচেলত্তির কাছে। তারপরও এর কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না অভিজ্ঞ এই কোচ। কেবল ক্রেডিট দিয়ে গেলেন সমর্থক ও খেলোয়াড়দের।  

ম্যাচশেষে রিয়াল কোচ বলেন, ‘আবারও এটা ঘটল… এতবার এরকম হয়েছে, এতবার… এখন আসলে এটা ব্যাখ্যাতীত ব্যাপার। সমর্থকরা একটি বড় কারণ (এমন জয়ের পেছনে)। তারা যেভাবে দলকে প্রেরণা জোগায়, এই স্টেডিয়াম, এখানকার আবহ, সবকিছুই এটা সম্ভব করেছে। আর ছিল এক দল ফুটবলার, যারা কখনোই বিশ্বাস হারায়নি। তবে এটা স্রেফ জাদুকরি, এছাড়া অন্য কোনো ব্যাখ্যা আর নেই। এই টুর্নামেন্ট, এই স্টেডিয়াম আর এখানকার আবহ এই জাদু বের করে আনে। ’

মৌসুমের শুরুতে যেভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ক্লাবটি। করিম বেনজেমা যাওয়ার পর ভালো কোনো স্ট্রাইকার না পাওয়ার পাশাপাশি চোটে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। যার মধ্যে ছিলেন এদার মিলিতাও, থিবো কোর্তোয়াও। ভিনিসিয়ুসও চোট পেয়ে লম্বা সময়ের জন্য ছিলেন মাঠের বাইরে। এত খারাপ অবস্থা থাকা স্বত্ত্বেও দল লিগ জেতার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে যাচ্ছে, এরকম প্রত্যাশা ছিল না খোদ আনচেলত্তিরও।  

তিনি বলেন, ‘কঠিন একটি ম্যাচ ছিল। আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি, নিয়ন্ত্রণ ছিল আমাদেরই, কিন্তু পিছিয়ে পড়েছি। এরপর আমাদের মানসিক শক্তি ছিল নিজেদের হারিয়ে না ফেলার। সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, ক্লাবের প্রতিও। সবকিছুর ওপরে, খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এমন একটি মৌসুম তারা ক্লাবকে এনে দিয়েছে, যেটির প্রত্যাশা কারও ছিল না। ’

‘এই দল এত ভালো করে ফেলবে, এটা আসলে আমিও ভাবতে পারিনি। ফাইনালে উঠতে পারাই বিশাল সাফল্যের। এরপর যা হওয়ার, হবে। ’- যোগ করেন তিনি।

আগামী ১ জুন বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে মোকাবেলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।