ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

‘আগেরবারও ভোট দিছেন কী লাভ হইসে, আমিই চেয়ারম্যান হমু’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
‘আগেরবারও ভোট দিছেন কী লাভ হইসে, আমিই চেয়ারম্যান হমু’

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদীপুর ইউনয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দিলেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রশীদ মোল্লা। তার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

গত ১০ নভেম্বর সাদীপুর ইউনয়নের গণক বাড়িতে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে আব্দুর রশীদ মোল্লা বলেন, “হাসেম মিয়ারে আপনারা হের মা নাই বাপ নাই, হেয় দুইবার ফেইল করসে কান্দাকাটি শুইন্না ভোট দিয়া দিসেন। কী হইসে? লাভ হইসে কিতা? রশীদই চেয়ারম্যান হইসে। আল্লাহর রহমতে এবারো আমি চেয়ারম্যান হমু। ”

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে বহিরাগতদের নিয়মিত মোটরসাইকেল শোডাউন। এটিও করছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। পাশাপাশি রাত হলেই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মহড়ায় এলাকায় ছড়াচ্ছে আতঙ্ক।

এ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুর রশীদ মোল্লা। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লাঙ্গলের প্রার্থী আবুল হাসেম। আবুল হাসেম গতবার নির্বাচনে ৬৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী বলেন, প্রতিদিন নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন করছেন যুবলীগের ঢাকা মহানগরীর প্রভাবশালী নেতা ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু। শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি নিয়মিত নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। তবে এলাকাবাসী তাকে বহিরাগত হিসেবেই চিহ্নিত করছেন।

নির্বাচনী এই এলাকায় রাত হলেই নামে আতঙ্ক। এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নিয়মিত ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন ও পুলিশ এ ব্যাপারে নীরবতা পালন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

তারা বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের সময় সাদীপুর ইউনয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ভোট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ হোসেন বরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ব্যালটবাক্স লুট করেছিলেণ। পরে পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে পুলিশ ফাঁকা গুলিও ছুড়েছিল। পরে ব্যালট উদ্ধার করা হয়েছিল। সে সময় হত্যা মামলার আসামিদেরও দেখা গেছে তার সঙ্গে। এবার এরা সবাই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আতঙ্ক আরো বেড়েছে।

জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ব্যালটে হাত দিলে প্রয়োজনে কেন্দ্র বাতিল হয়ে যাবে।

 

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।