ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সিলেটে নৌকায় সিঁদ কাটছেন ১৬ বিদ্রোহী

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
সিলেটে নৌকায় সিঁদ কাটছেন ১৬ বিদ্রোহী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সিলেট: দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সিলেটের ১২ উপজেলায় রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে। বিএনপিবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থানে। অবশ্য তাদের পাশ কাটিয়ে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী ১৬ প্রার্থী নৌকায় সিঁদ কাটছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। বিদ্রোহীদের নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়ে গেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।

এসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে সোমবার (১৮ মার্চ) ভোটের মাধ্যমে। জেলাটির ১২ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (নারী-পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৭৩ প্রার্থী কারা পরবেন বিজয়ের মালা, তা দেখার অপেক্ষায় প্রহরগোনার পালা।

১২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৭৬ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১ প্রার্থী ভোটের মাঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে সাতটিতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। পাঁচটিতে রয়েছেন নৌকার একক প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টির চারজন, বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছয়জন এবং ইসলামী ঐক্যজোটসহ (ওআইজে) ও অন্য স্বতন্ত্র ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর তাদের বিপরীতে রায় দেবেন সব উপজেলার ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৭১০ ভোটার।

হিসাবের খাতায় প্রার্থীরা যতোই চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করেন না কেনো, এর চূড়ান্ত নির্ধারক ১২ উপজেলার ১০ লাখ আট হাজার ৯০ জন পুরুষ এবং আট লাখ ৮৫ হাজার ৭১০ জন নারী ভোটার। তাদের আমানত ভোটেই নির্বাচিত হবেন ১২ জন করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান।

এসব উপজেলায় ৮১৬টি কেন্দ্রে চার হাজার ৪১৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ১৪ হাজার ৫৮ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৮১৬, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চার হাজার ৪১৪ জন এবং আট হাজার ৮২৮ জন পুলিং অফিসার।

উপজেলাগুলোর মধ্যে সিলেট সদরে মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৩৩৫ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১২ হাজার ৭১২ এবং এক লাখ ছয় হাজার ৬২৩ জন নারী ভোটার ৯১টি কেন্দ্রে স্থায়ী-অস্থায়ী ৫৪০টি কক্ষে ভোট দেবেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় মোট ভোটার এক লাখ ৫০ হাজার ৬৫৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৭৬ হাজার ৫৯৯ এবং নারী ৭৪ হাজার ৬০ জন ভোটার ৭৪টি কেন্দ্রের ৩৭৪টি কক্ষে ভোট দেবেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মোট ৭২ হাজার ৬৫৪ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৩৬ হাজার ৪৪৬ এবং নারী ৩৬ হাজার ১০৮ জন। এসব ভোটার ৩৬টি কেন্দ্রর ১৭৬টি কক্ষে ভোট দেবেন।

বালাগঞ্জ উপজেলায় ৮০ হাজার ৬০৯ জন মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ২২৮ এবং নারী ৪০ হাজার ৩৮১ জন। এ উপজেলায় ৩৪ কেন্দ্রের স্থায়ী-অস্থায়ী ২০৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মোট ৯৬ হাজার ৫১০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৬৬০ এবং নারী ৪৫ হাজার ৮৫০ জন ৪০টি কেন্দ্রর ২৫০ কক্ষে ভোট দেবেন।

আরও পড়ুন>> সিলেটের ৭ উপজেলায় আ’লীগের ১৬ বিদ্রোহী

কানাইঘাট উপজেলার এক লাখ ৭০ হাজার ২৮ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৮৪ হাজার ৮২৭ এবং নারী ৮৫ হাজার ২০১ জন। তারা ৮১টি কেন্দ্রের ৩৭৫ কক্ষে ভোট দেবেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯১ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৮৬ হাজার ৮৪৬ এবং ৮৩ হাজার ৫৬৫ জন নারী ভোটার ৭৮টি কেন্দ্রে ৪১৭ কক্ষে ভোট দেবেন।

জৈন্তাপুর উপজেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৬২২ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৫৪ হাজার ৪৯৩ এবং ৫২ হাজার ১২৯ জন নারী ৪৫টি কেন্দ্রের ২৬৯টি কক্ষে ভোট দেবেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলায় এক লাখ ৭৯ হাজার ৩০২ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯১ হাজার ৪৫৭ এবং ৮৭ হাজার ৮৪৫ জন নারী ৬৯ কেন্দ্রের ৪২৮টি কক্ষে ভোট দেবেন।

জকিগঞ্জ উপজেলার এক লাখ ৫৪ হাজার ৪৮২ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৭৮ হাজার ৪৫৩ এবং ৭৬ হাজার ২৯ জন নারী ৭৭টি কেন্দ্রের ৩৫৫ কক্ষে ভোট দেবেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুই লাখ ২২ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১১ হাজার ৫২৫ এবং এক লাখ ১০ হাজার ১৭৫ জন ১০২টি কেন্দ্রের ৫৫৬টি কক্ষে ভোট দেবেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় এক লাখ ৭০ হাজার ৬১৫ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৮৩ হাজার ৮৪৪। নারী ৮৬ হাজার ৭৭১। উপজেলাটিতে ৮৯টি কেন্দ্রের ৪৬৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এনইউ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।