ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য ইসিতে বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য ইসিতে বিক্ষোভ নির্বাচন ভবনে বিক্ষোভ-হট্টগোল করছেন ভুক্তভোগীরা

ঢাকা: আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থিতা পাওয়াদের রায়ের সার্টিফায়েড কপি দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিক্ষোভ-হট্টগোল করছেন ভুক্তভোগীরা। 
 

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা আপিল করলে শুনানি করে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেওয়া হচ্ছে না।

এতে দলের চূড়ান্ত নমিনেশন না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
 
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. এরশাদ উল্লাহ। তফসিল ঘোষণার আগেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টে অন্য কোনো লেনদেন না করায় আপিলে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
 
নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এম হামেশ রাজু দু’দিন থেকে ঘোরাঘুরি করছেন। কিন্তু রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। তিনি বলেন, আমরা আপিল বৈধতা পেয়েছি। কিন্তু রায়ের সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ার কারণে শঙ্কায় রয়েছি। কেননা, এটা পার্টি অফিসে না দিতে পারলে তো চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবো না।
 
নির্বাচন কমিশন বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) জানিয়েছিল আজ (শুক্রবার-০৭ ডিসেম্বর) সকালে দেবে। কিন্তু এখনো দিচ্ছে না। তাই আমরা বিক্ষোভ করছি।
 
জাতীয় পার্টির মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মিন্টু। তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিলো হলফনামায় একটি স্বাক্ষর না করায়। নির্বাচন কমিশন শুনানি করে মনোনয়নপত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সকালে বললো নামাজের পর দেবে, নামাজের পর বললো বিকেলে দেবে। এখন বলছে যার যার জেলা-উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে। সময় আছে মাত্র দু’দিন। এ সময়ের মধ্যে এলাকায় গিয়ে সংগ্রহ করে আবার ঢাকায় পার্টি অফিসে জমা দিতে হবে। কেননা, দলগুলো ৯ ডিসেম্বর (রোববার) চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ইসিকে জানাবে।
 
এক্ষেত্রে যদি কোনো কারণে স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছতে দেরি হয়, তাহলে তো জমাই দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন নড়াইল-২ আসনের জেএসডি প্রার্থী ফকির শওকত আলী। তিনি বলেন, এই গড়িমড়ির কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি।
 
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।
 
শুনানি শুরুর আগের দিন গত মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, শুনানির পরপরই আমরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি দিয়ে দেবো। ভুক্তভোগীরা বলছেন, সচিব সেদিন নিজেই একথা বলার পর, এখন আমাদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।