ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

প্রবাসে আচরণবিধি ভঙ্গ হলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে ইসি?

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৪০, অক্টোবর ৮, ২০২৫
প্রবাসে আচরণবিধি ভঙ্গ হলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে ইসি?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথবারের মতো বড় আকারে প্রবাসীদের জন্য ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে প্রবাসীদের মধ্যে ভোটের আগ্রহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কাও।

তাই আচরণবিধি প্রতিপালনে ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটির ভূমিকা কী হবে, দেখা দিয়েছে সেই প্রশ্ন।

দেশের অভ্যন্তরে আচরণবিধি মানাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শক্ত আইনি ভিত্তির বিষয়টি বহুল প্রচলিত। এক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগ করা হয়। তবে বিদেশের মাটিতে কোন আইনে কী করে নিয়ন্ত্রণ হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারেরও কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে বিদেশের মাটিতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে দেশের রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হওয়া। সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও সে কথা বারবার বলে আসছেন। সঙ্গত কারণেই প্রবাসীদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে আগ্রহ, উত্তেজনা।

প্রবাসী ভোটার কত হিসাব নেই

নির্বাচন কমিশন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি-বায়রাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে। এইসব দেশকেই মাথায় রেখে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশগুলো হলো—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মৌরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীস, স্পেন, জার্মানী, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস।

এসব দেশে এক কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৪ জন প্রবাসী রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে রয়েছে বেশি প্রবাসী রয়েছে সৌদি আরবে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নিউজিল্যান্ডে দুই হাজার ৫০০ জন। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশের মতো ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে বলে ধারণা করছে ইসি। যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রবাসী ভোটারের সাড়া পাবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন দেশে ঠিক কত সংখ্যক প্রবাসী রয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই। প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করেন এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলে জেনেছি ১ কোটি ৩০ লাখের মতো বা কিছু বেশি প্রবাসী রয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশির এনআইডি আছে। সেই হিসেবে ৫০ লাখের মতো ভোটারকে পাবো বলে আশা করছি। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে প্রবাসী ভোটের হার ২০ থেকে ২২ শতাংশের মতো হয়।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আইনে বিদেশের মাটিতে অফলাইনে বা অনলাইনে প্রচার চালাতে দলগুলোর জন্য কোনো বিধিনিষেধ নেই। ফলে দলগুলো তাদের প্রবাসী শাখাগুলোকেও কাজে লাগাবেন। আর প্রচার চালাতে গেলেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ছাড়া অনলাইন প্রচারেও বিদ্বেষ ছড়ানোর বিষয় সামনে চলে আসতে পারে। বিশেষ করে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ভিত্তিক অপপ্রচার হাতিয়ার হতে পারে দুষ্কৃতকারীদের।

আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে যা বলছে ইসি

নির্বাচন কমিশন বলছে, এআই ভিত্তিক অপপ্রচার নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে শাস্তি হতে পারে দল ও প্রার্থীর। অফলাইনে বা সশরীরেও আচরণবিধি ভাঙলে সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, এআই ব্যবহার করে যে কোনো ধরনের মিথ্যাচার বা অপবাদ ছড়ানো ইত্যাদি ব্যাপারে প্রার্থী, দল, সংস্থা, মিডিয়া সংস্থা সবার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আইনে রাখা হয়েছে। এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশের সমস্যা নয়।

জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ বিষয়ে বলেন, আমরা আরপিওতে একটা বিষয় অন্তর্ভূক্ত করেছি, আচরণ বিধিমালাতেও এনেছি যে, কোনো ধরনের অপ্রপচার অনলাইনে বা অফলাইনে যা হোক না কেন, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এছাড়া বিদেশের মাটিতেও কেউ যদি সহিংসতায় জড়িয়ে যায়, বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রবাসীদের মাঝে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। তবে যদি অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়, তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে। এক্ষেত্রে দেশে ও দেশের বাইরে আইনের একই প্রয়োগ হবে।

আবার কেউ যদি সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যান, তবে তার বিরুদ্ধেও দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কেউ যদি ফৌজদারি অপরাধ করে আর সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত আইনে যদি অপরাধীর বিচার হয়, তাহলে আর দেশে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে অন্য কেউ নির্বাচন কমিশন বা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

আইনে যা আছে

ভোটে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রার্থী, তার এজেন্ট বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ্ মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার করলে প্রার্থিতা বাতিল করে দেবে ইসি। একই সঙ্গে হতে পারে জেল জরিমানা। কেবল প্রার্থী নয়, দলের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও থাকছে সংশ্লিষ্ট দলের জরিমানা।

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় ১৬ বিধি সংযোজন করে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা দল বা প্রার্থী সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নাম, একাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি প্রচার-প্রচারণা শুরুর পূর্বে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করতে হবে; প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যাবে না; ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য, কারো চেহারা বিকৃত করা ও নির্বাচন সংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সকল প্রকার ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচার করা যাবে না; প্রতিপক্ষ, নারী, সংখ্যালঘু বা অন্য কোনো জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচনী স্বার্থ হাসিল করার জন্য ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার করা যাবে না; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কনটেন্ট শেয়ার ও প্রকাশ করার পূর্বে সত্যতা যাচাই করতে হবে; রাজনৈতিক দল, প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, ভোটারদের বিভ্রান্ত করার জন্য কিংবা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো প্রার্থী বা ব্যক্তির চরিত্র হনন কিংবা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে, সাধারণভাবে বা সম্পাদননা করে কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কোনো মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, পক্ষপাতমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ এবং মানহানিকর কোনো আধেয় (কনটেন্ট) তৈরি, প্রকাশ, প্রচার ও শেয়ার করতে পারবেন না।

শাস্তির ক্ষেত্রে বিধিমালায় বলা হয়েছে—কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে (তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়) বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে; আর কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।

এদিকে কমিশন যদি মনে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সংগঠিত অপরাধ প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার মতো, তাহলে তদন্ত করে প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

প্রবাসে আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রচারের উদ্যোগ নেই

নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রচার চালিয়ে থাকে। প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কী করতে পারবেন, মূলত সেই প্রচারই করা হয়। তবে প্রবাসীদের ভোটের আয়োজন করলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ ইসির ভাবনায় নেই।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ বিষয়ে বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে। যেহেতু প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বড় আকারে, বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত। এ নিয়ে কমিশন সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।

আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্থে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের কথা ভাবছে কমিশন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে ইসি। সামনে প্রবাসীরা যাতে ভোট দেয়, সেজন্য ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।

প্রবাসীরা ভোট দেবেন যেভাবে

আগামী নভেম্বরে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য অনলাইন নিবন্ধনের ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি তৈরি করে ফেলবে ইসি। এর পরেই প্রবাসীদের নিবন্ধনের জন্য প্রচারযজ্ঞ চালানো হবে। এক্ষেত্রে তারা ওই অ্যাপের মাধ্যমে নিজের এনআইডি নম্বর, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

যারা নিবন্ধন করবেন তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রবাসীদের পৃথক ভোটার তালিকা করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর সেই তালিকা অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালট ছাপানো হবে। যে ব্যালটে শুধু দলগুলোর মার্কা তথা প্রতীক থাকবে। কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না। কারণ প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগে কারো নাম ব্যালটে ছাপানো যায় না। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যালট পাঠানোর সময় কুলাবে না। আবার মামলার রায়ে কেউ প্রার্থিতা পেলে নতুন করে ব্যালট ছাপাতে হবে। তাই আগেই প্রার্থীর নাম ছাড়া ব্যালট ছাপানো হবে। এবং সেই ব্যালট প্রবাসীর দেওয়া ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে ডাক বিভাগের মাধ্যমে।

এদিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলে অনলাইনে নিবন্ধনকারীর মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বলে দেওয়া হবে—আপনি অনলাইনে গিয়ে আপনার এলাকার চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা দেখুন এবং পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে ভোট দিন। সেই মেসেজ পেয়ে প্রবাসী ভোটার তার ভোটটা দিয়ে ডাকযোগে পাঠাবেন।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়ে জানান, ডাক বিভাগ জানিয়েছে সবচেয়ে দুরের দেশে একটি চিঠি পাঠাতে এবং আনতে ২৮ দিন লাগে। তাই দেশের ভোটারদের আগেই প্রবাসী ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এজন্য দেশে বিদেশে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার চালানো হবে।

ইসি সচিব বলেন, যাদের এনআইডি আছে তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন। কারণ এনআইডি ছাড়া নিবন্ধন করার সুযোগ থাকবে না।

ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।