ঢাকা, বুধবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

দলে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণে সময় আর না বাড়ানোর ভাবনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৭, অক্টোবর ৭, ২০২৫
দলে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণে সময় আর না বাড়ানোর ভাবনা

ঢাকা: রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণের সময় আর না বাড়ানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে নারী নেত্রীদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে এমন ভাবনার কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

 

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের ঘরে বসে ভোট দেওয়ার প্রস্তাবটি খুবই যুক্তিসঙ্গত। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো ২০৩০ সালের পর ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে না পারলে, তাদের আর সময়সীমা বাড়ানো হবে না- এমনটা আমরা করতে পারি। নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে না পারলে দলের পুনরায় নিবন্ধনের বিষয়টি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় পাস করালে রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে আরও সচেতন হবে।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রবাসী ভোটের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। সেটিই জরুরি। গুজবের ক্ষেত্রে অর্ধেকের মতো সোর্স ট্রেস করা যায় না। অনেক সোর্স দেশের বাইরে। তাদের আইনের আওতায় আনা যায় না। তাই তথ্যের প্রবাহে লাগাম টানবে না ইসি। সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে ডিসইনফরমেশন, মিসইনফরমেশনকে আমরা মোকাবিলা করবো। রোমানিয়ার মতো দেশও অপতথ্য ঠেকাতে পারেনি। তাদের পুরো নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েছিল। এআই-এর বিরুদ্ধে কোনো কমিশনই এখন পর্যন্ত আপ টু দ্য মার্ক হতে পারেনি। কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে ইসিকে। এসব সীমাবদ্ধতা গত তিন নির্বাচন থেকে উৎসারিত। অনেক পর্যবেক্ষক সংস্থা যোগ্য হলেও তারা আগের নির্বাচনগুলোতে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখেনি তাই তাদের এবার পর্যবেক্ষক হিসেবে রাখা যায়নি।  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য নির্বাচন কমিশনার, নারী নেত্রী ও ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।