ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

ববির শিক্ষক-শিক্ষর্থীদের আমরণ অনশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
ববির শিক্ষক-শিক্ষর্থীদের আমরণ অনশন আমরণ অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষর্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: দিন গড়িয়ে রাতেও চলেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর এস এম ইমামুল হকের অপসারণ চেয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় শুরু হয় এ অনশন কর্মসূচি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বুধবার দিনগত রাত সোয়া ২টায় জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি চলবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি কায়ছার আহম্মেদ জয়, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়াসহ শিক্ষকরা রয়েছেন।

তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এরইমধ্যে স্যালাইন দিতে হয়েছে, তবে দাবি আদায়ের অনড় মনোবল নিয়ে কর্মসূচিতে বেশি শিক্ষার্থী স্বাভাবিক অবস্থাতে রয়েছে।  

শিক্ষার্থী তনুশ্রী ভট্টাচার্য বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন এক মাস পূর্ণ করে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছি।  আমরা ভিসির অপসারণ নয়তো পূর্ণ মেয়াদে ছুটিতে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।  

এদিকে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি কায়ছার আহম্মেদ জয় বলেন, শিক্ষার্থীরা টানা ৩০ দিন ধরে ভিসির পদত্যাগ নয়তো পূর্ণ মেয়াদের ছুটির লিখিত প্রাপ্তির দাবিতে আন্দোলন করছে। বুধবার থেকে তার অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচির মতো পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ মর্মে আমাদের কাছে কোন সংবাদ পৌঁছায়নি।

তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগের দাবিতে একটি মানববন্ধন করেছিলো, আর ভিসি বলেছিলেন ৫ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীও সেখানে যায়নি। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়ার আহবান জানালেন কিন্তু এ অব্দি কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে যাওয়ার জন্য আসেননি। তাহলে সত্য কি দাঁড়ালো।  ভিসি ক্ষুদ্ধ চাতুরতার সঙ্গে আমাদের সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো, তিনি নিজেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রাস ছড়িয়েছেন।  শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দিয়েছি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া জানান, শিক্ষক সমিতির আহ্বানে সারা দিয়ে এ পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষক তাদের স্ব-স্ব প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেছন। যারা এরইমধ্যে তাদের পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।