ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

৪৫ প্রশাসনিক পদ ছাড়লেন ববি শিক্ষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
৪৫ প্রশাসনিক পদ ছাড়লেন ববি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এ আমরণ অনশনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরা

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক পদ থেকে শিক্ষকদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এরইমধ্যে ৪৫ জন শিক্ষক তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা আজ শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি জরুরি একটি সভা করেছি। সেই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা প্রভোস্ট, প্রক্টর, চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যে শিক্ষকরা রয়েছেন তাদের পদত্যাগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।

 

তিনি বলেন, এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯০টি প্রশাসনিক পদের মধ্যে ৪৫ জন শিক্ষক তাদের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।

এদিকে বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর এস এম ইমামুল হকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক- শিক্ষার্থীর ব্যানারে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আরিফ হোসেন বলেন, উপাচার্য অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছেন, তিনি কখনো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হতে পারেননি। তিনি এখানে শাসক ও শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। আমরা আশাকরি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী অনতিবিলম্বে তাকে (উপাচার্য) অপসারণ করে অথবা পূর্ণ মেয়াদে ছুটি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।  

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন বলেন, এতোদিন শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ, নয়তো পূর্ণমেয়াদে ছুটিতে যাওয়ার লিখিত আবেদনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে। যেখানে শিক্ষক-কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেওয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু হয়। আজ একমাস পূর্ণ হলো অর্থাৎ, ৩০তম দিনে গিয়ে ঠেকেছে আমাদের আন্দোলন। কিন্তু এইসময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং গত ২১ এপ্রিল ভিসি লিখিত আবেদনে শিক্ষার্থীদের এক কথায় সন্ত্রাসী বলেছেন।  

আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে ভিসির পদত্যাগ নয়, অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।  যেখানে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষকরাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তবে তারা আজ জরুরি সভায় বসার কারণে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে অনশনস্থলে বসবেন। আর দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।