ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী থেকে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী থেকে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির আহ্বান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

ঢাকা: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের ভেতর থেকে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে আরও তৎপর হতে বলেন তিনি।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হোটেলে ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ বিষয়ে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

শিল্প মন্ত্রণালয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রিজম প্রকল্প ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিসিকের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদ এবং প্রিজম প্রকল্পের টিমলিডার আলী সাবেত। বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নতুন প্রযুক্তি হস্তান্তর করে দেশীয় মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো আধুনিক করা হবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা যেন যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন, সেজন্য ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ এর আলোকে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

উদ্যোক্তারা যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামীতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় অকৃষি জমিতে শিল্পনগরী স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শিল্প সচিব বলেন, রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জনবহুল দেশ হিসেবে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন অপরিহার্য।

এছাড়া, নীতিমালার সময়াবদ্ধ কর্মকৌশল বাস্তবায়নে সব অংশীজনকে নিজ নিজ দায়িত্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন শিল্প সচিব।

বিভিন্ন এলাকার সম্ভাবনাময় শিল্পের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিসিকের চেয়ারম্যান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ হাজার একর জমিতে ৫০টি নতুন শিল্পনগরী স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিসিক কাজ করছে। দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুযোগ প্রসারিত করতে শিল্পনগরীগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আনতেও বিসিক কাজ করছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ এ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা নেওয়ায় নীতিমালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক।

তিনি এসএমই নীতিমালার লক্ষ্য অর্জনে বাস্তবায়ন কৌশলে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও দর কষাকষির সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যেন কোনো ধরনের ওভারল্যাপ না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।