চট্টগ্রাম: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে তদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়ে এক বিফ্রিং এই মন্তব্য করেন তিনি।
নাইমা সুলতানা বলেন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ করা হয়েছে। তদন্তে যাদের নাম এসেছে, তাদের আসামি করা হয়েছে।
এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগপত্রে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি ছয় আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া। এছাড়া মামলা থেকে শাহ জামান, সাইদুল ইসলাম, নুরুন্নবী, রাশেদুল ইসলাম ও আবু নাছেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযোগপত্রভুক্ত সাত আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার। জামিনে আছেন এহতেশামুল। আর মুসা ও কালু শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।
গত ২০২০ সালের জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। গত ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য ২০২১ সালের ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। একইদিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন নগরের পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এতে বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ওই দিনই বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এমআই/টিসি