চট্টগ্রাম: সাধারণত বর্ষা মৌসুম এলেই বাড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার বেশ আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে আশার বিষয়, এখন পর্যন্ত কোনো রোগী ভর্তি নেই হাসপাতালে। ভবিষ্যতে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত চমেক হাসপাতাল।
এই মুহূর্তে সচেতন না হলে ডেঙ্গু চোখ রাঙাতে পারে এমন আশঙ্কা করে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী নেই। তবে বেশ কিছু ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এটা যেহেতু ডেঙ্গুর মৌসুম, তাই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। এ বিষয়ে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। প্রথম কাজ হচ্ছে উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড ও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি হাসপাতাল হিসেবে আমাদের যে প্রস্তুতি থাকা দরকার তা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী ভর্তি নেই।
এদিকে চট্টগ্রামে এর আগে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেলেও এবার মশক জরিপে বেশ উদাসীন স্বাস্থ্য বিভাগ। ২০২০ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ মশক জরিপ চালানো হয়। এরপর থেকে আর করা হয়নি এ জরিপ। এর আগে ২০১৭ সালে আরও একবার হয় মশক জরিপ। যদিও প্রতিবছর এ জরিপ চালানোর কথা রয়েছে।
আর্থিক ও লোকবল সংকটে মশক জরিপ প্রতিবছর করা হয় না জানিয়ে জেলা কীটতত্ত্ববিদ অ্যান্তেজার ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, ২০২০ সালের পর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু জরিপ চালানো হয়নি। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে এখন থেকেই।
চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জেলার অধিন উপজেলাগুলোতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি