চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছে। গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভ্যান গার্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আনন্দ র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, অতীতে যারা আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সঙ্গে রাজপথে ছিলেন। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যারা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। ঐ ধরনের দুঃসময়ের ত্যাগী ও যোগ্য নেতৃবৃন্দের দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম মহানগর, ১৫ থানা ও ১২টি আহবায়ক কমিটি উপহার দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষ পি আর পদ্ধতি বুঝেনা, তারা ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। যারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল সম্মুখভাগে লড়াই করেছে। দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণে স্বেচ্ছাসেবক দল সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, এম. আবু বক্কর রাজু, রাজীব উদ্দিন আকন্দ, মহসিন কবির আপেল, রিফাত হোসেন শাকিল, দিদার হোসেন, হারুনুর রশিদ, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু, মো. আলমগীর, আব্দুল আহাদ রিপন, কামরুল হাসান, এন মোহাম্মদ রিমন, আরিফুর রহমান চৌধুরী, মো. ইফতেখার উদ্দিন নিবলু ও তাজুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন রাতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে মহানগরের আওতাধীন ১৫ থানার পূর্ণাঙ্গ ও ১২টি ওয়ার্ডের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। এরআগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেলায়েত হোসেন বুলু কে আহ্বায়ক ও জমির উদ্দিন নাহিদকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছিল।
এমআই/টিসি