ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পশুর হাটে করোনার সংক্রমণ ঠেকানোই বড় চ্যালেঞ্জ 

মিনার মিজান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১৯, জুলাই ১৪, ২০২১
পশুর হাটে করোনার সংক্রমণ ঠেকানোই বড় চ্যালেঞ্জ  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। স্বাস্থ্য বিভাগের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা আসন্ন কোরবানির পশুর হাট ঘিরে।

কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা না হলে কোরবানির পশুরহাট করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
 
২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে চট্টগ্রামে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬টি এবং ১৪ উপজেলায় শতাধিক পশুর হাট বসছে। কয়েকদিন পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে এসব পশুর হাটে কেনাবেচা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার বসানোর কথা বলা হলেও পশুর বাজারে তা কতটুকু নিশ্চিত করা যাবে এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।  

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ৭৮৭ জনের। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৫১ হাজার ৯৪৯ জন এবং উপজেলা এলাকায় ১৫ হাজার ৮৩৮ জন। এছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩ জন। শুধু সংক্রমণ নয় করোনায় মৃত্যুর তালিকাও হয়েছে লম্বা। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৮০০ জন। এর মধ্যে ৫০৮ জন মহানগর এলাকায় এবং ২৯২ জন উপজেলা এলাকায়। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০ জন।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশুর হাটে জনসমাগমের কারণেই বাড়তে পারে করোনার সংক্রমণ।  

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে আসবে কোরবানির পশু। তার মানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে মানুষ। এছাড়া হাটে গরু কিনতে কেউ একা আসেন না। সেক্ষেত্রে কত মানুষ হাটে আসবেন তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং যতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হোক তা পালন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে যে পরিস্থিতি- ঈদের পর তা আরও খারাপের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালে যেসব রোগী রয়েছে তার বেশিরভাগই বিভিন্ন উপজেলার। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেউ শহর থেকে গ্রামে যাবেন আবার কেউ গ্রাম থেকে শহরে আসবেন। এতে বাড়বে সংক্রমণের ঝুঁকি।  

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট আব্দুর রব মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় কোরবানির পশুর হাট। এসব হাটের মাধ্যমে সংক্রমণের হার কোথায় গিয়ে থামে তা এখন দেখার বিষয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে কারোনা পরিস্থিতি তেমন একটা ভালো নয়। নগরের সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে। গত কয়েকদিন সংক্রমণের হার ৩৭ শতাংশে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতির আদৌ উন্নতি হবে কিনা তা আসন্ন ঈদুল আজহার ওপর নির্ভর করবে। ঈদের পর সংক্রমণ নিম্নমুখী রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।