ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে পদার্থবিজ্ঞানীদের ভূমিকা রয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে পদার্থবিজ্ঞানীদের ভূমিকা রয়েছে বক্তব্য দেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ম্যানিফেস্টো ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ গ্রহণ করেছেন। এসব রূপকল্প বাস্তবায়নে পদার্থবিজ্ঞানীদের মৌলিক ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে পদার্থ বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের আজকের উৎকর্ষের পেছনে পদার্থ বিজ্ঞানের বিস্ময়কর ভূমিকা রয়েছে।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে বলা হচ্ছে ‘ফিউশন অব টেকনোলজিস’। যেটা ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল জগতের সিস্টেমকে পুরোপুরি বদলে দিচ্ছে।
এ বিপ্লব ইতিমধ্যে উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এখানেও পদার্থ বিজ্ঞানের একটা ঐতিহাসিক যোগসূত্র রয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে চুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দুই দিনব্যাপী তৃতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব ফিজিকস ফর সাসটেইনেবেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (আইসিপিএসডিটি)’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের পরিচিত হতে হবে। সেজন্য ক্লাসরুম ও একাডেমিক বইয়ের সঙ্গে এক্সপেমেরিমেন্টাল শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স একাডেমিক এক্সিলেন্স বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্কোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

কনফারেন্স স্পিকার হিসেবে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবেল ডেভলপমেন্ট’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কনফারেন্স চেয়ার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এবং কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। সাজনীন আকতার লামিয়া ও হাবিবুল্লাহ সরকারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ড. স্বপন কুমার রায়।

ড. এম. শমসের আলী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং টেকসই উন্নয়ন সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা আরেকটার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদের একইতালে এগিয়ে যেতে হলে তরুণ প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।

এবারের কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক, উদ্যোক্তা, প্রফেশনাল্স ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন।

দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে ৩টি কি-নোট স্পিচ, ২টি ইনভাইটেড টক, ১০টি টেকনিক্যাল সেশন এবং একটি পোস্টার প্রেজেন্টেশন থাকছে। এবার প্রাথমিকভাবে গৃহীত মোট ১৮৯টি অ্যাবস্ট্র্যাক্টের মধ্য থেকে ১৫৭টি গবেষণা প্রবন্ধ (৮৮টি ওরাল এবং ৬৯টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন) কনফারেন্সে উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের হোটেল লর্ডসে কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad