ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান জরুরি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩:৪৯, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান জরুরি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান

চট্টগ্রাম: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম শহরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ ও মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় এ সভার আয়োজন করে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট-রাস্তাঘাট সবখানেই ধূমপান হচ্ছে। তবে এই জরিপের মাধ্যমে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের একটি পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, যা খুবই আশঙ্কাজনক।

প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এক বক্তৃতায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। কারণ এতে জনমনে এ আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে।

চট্টগ্রাম শহরে হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাবলিক বাস ও সরকারি অফিসে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার’ (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়নের পরিস্থিতি যাচাইয়ে চলতি বছরের জুনে একটি জরিপ পরিচালনা করে ইপসা। জরিপের ফলাফলে উঠে আসে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের মারাত্মক চিত্র। জরিপের ফলাফল সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে ও স্মারক প্রকাশনা (ফ্যাক্টশিট) উদ্বোধনের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ সভার আয়োজন করে সংস্থাটি।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী বলেন, এ জরিপের মাধ্যমে আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের অবস্থানটা জানতে পেরেছি। তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোগ নিতে এলজিআরডি ইতিমধ্যে সার্কুলার জারি করেছে।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী বলেন, এ জরিপে বিভিন্ন সরকারি অফিসে তামাক আইন ভঙ্গের চিত্র উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সব সরকারি অফিসকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন সার্কুলার জারি করবে।

সভায় জরিপের ফলাফল সম্পর্কে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানু।

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব মু. ইনামুল হাছান, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, সিটিএফকের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আতাউর রহমান,  সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল আজিজ, জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক মো. সাঈদ হোসেন, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশেদা বেগম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ, ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরো, সিনিয়র সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, এন্টি ট্যোবাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের সদস্য কামরুল হুদা, সদস্য গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহণ মালিক গ্রুপের সহ সভাপতি এমএ ওয়াহেদ, ক্যাবের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, স্বপ্নিল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।