ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শীত আসেনি এখনও, শীতবস্ত্রের বাজার মন্দা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
শীত আসেনি এখনও, শীতবস্ত্রের বাজার মন্দা ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

চট্টগ্রাম: হেমন্তের হালকা শীত আর সকালে কুয়াশামিশ্রিত বিন্দু বিন্দু শিশিরের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীত আসছে। ভোরে খানিকটা শীতের আভাস মিললেও আকাশে থাকে রৌদ্রের ঝলকানি। নেই শীতের প্রকোপ। আসবে আসবে করে এখনও সেভাবে শীত আসেনি বন্দর নগরীতে।

যেটুকু ঠাণ্ডা আবহাওয়ার তীব্রতা নগরবাসী টের পেয়েছেন তাতে যেন শীতবস্ত্র কেনার তেমন আগ্রহ জাগেনি কারও। তবে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোতে শীতবস্ত্রের বিপুল মজুদ লক্ষ্য করা গেছে।

ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নগরের হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা মেলেনি শীতবস্ত্রের ক্রেতাদের।

অবশ্য ফুটপাতের দোকানগুলোতে অন্য কাপড়ের পরিবর্তে শীতের পোশাক তোলা হয়েছে। কেনা-বেচা তেমন না থাকলেও দেখার জন্য হলেও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিক্রেতারা বলছেন, অনেকে শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য এখন মার্কেটে শীতের পোশাক দেখতে আসছেন। কেনার তাগাদা নেই। আর নগরের পলোগ্রাউন্ড ও আউটার স্টেডিয়ামে বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ায় অনেক ছুটছেন সেদিকেই। যার প্রভাব পড়েছে মার্কেটগুলোতেও।

ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সরবরাহের চেয়ে বিক্রি কম হওয়ায় এবার বাজারে শীতের কাপড়ের দামও কিছুটা কম। হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন সাধারণ পোশাক গোডাউনে রেখে দোকান সাজিয়েছেন শীতবস্ত্রে। তাকেও দেখা গেলো অলস সময় কাটাতে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব শীতের পোশাক তুললাম, কিন্তু এখনও শীত আসলো না। গরম কাপড়ের বাজার ঠাণ্ডা হয়ে আছে’।

আরেক ব্যবসায়ী ওসমানুল হক বলেন, ‘বেচাকেনা খুব কম। যারা আসছেন তারা কম দামে কেনার কথা ভাবছেন। ঠাণ্ডা নেই, তাই কাপড় কেনার ইচ্ছাও নেই ক্রেতাদের’।

ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই শুধু মূলধন তুলতেই আশার চেয়ে অনেক কম দামের বিক্রি করছেন পণ্য। এমন একজন জয়নাল আবেদীন জানান, আনোয়ারা থেকে একটু বেশি লাভের আশায় তিনি চট্টগ্রাম শহরে শীতের কাপড়, টুপি, মোজা, মাফলার বিক্রি করতে এসেছেন, কিন্তু বাজারের অবস্থা দেখে আবার ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন।

ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত বলেন, নগরের বাইরে যারা যাচ্ছেন এমন ক্রেতারা শীতের কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যারা নগরে থাকছেন তারা সেভাবে শীতের কাপড় কিনছেন না।

ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতের তীব্রতা না থাকায় গরম কাপড় কেনার প্রতি তাদের তেমন আগ্রহ নেই। এখন দেখছেন, কম দামে পছন্দমত কিছু পেলে কিনছেন।

ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বাকলিয়া এলাকার গৃহিণী আকলিমা আক্তার বলেন, ‘শহরে তেমন ঠাণ্ডা নেই, তাই শীতের কাপড় কিনছি না। গত বছরও তেমন শীতের দেখা মিলেনি। তখন কেনা শীতবস্ত্র রয়ে গেছে এখনও’।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসএস/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।