ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লবণ কিনে ক্রেতা পেলেন জরিমানার ভাগ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
লবণ কিনে ক্রেতা পেলেন জরিমানার ভাগ! চট্টগ্রামে লবণের দাম তদারকি করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা

চট্টগ্রাম: লবণের মোড়কে মুদ্রিত ছিল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা। কিন্তু গুজবকে পুঁজি করে সেই লবণ এক দোকানি বিক্রি করে ৫০ টাকা, অপর দোকানি ৬০ টাকা। এরপর দুই ক্রেতা রশিদ, প্রমাণাদিসহ অভিযোগ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে। দুই দোকানিকে জরিমানা করা হয় মোট ৩০ হাজার টাকা।

এখানেই শেষ নয়। আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী দুই ভোক্তা পেয়েছেন জরিমানার ২৫ শতাংশ ভাগ।

একজন পেয়েছেন আড়াই হাজার টাকা, অপরজন ৫ হাজার টাকা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) নগরের সুগন্ধা আবাসিক এবং পাঁচলাইশের খতিবের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ‌পি‌বিএন-৯ এর সহযোগিতায় অধিদফতরের উপপ‌রিচালক শা‌হিদা ফা‌তেমা চৌধুরী, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, বিকাশ চন্দ্র দাস ও মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, রু‌বেল আহ‌মেদ নামের একজন ভোক্তার অ‌ভি‌যো‌গের প্রেক্ষিতে সুগন্ধা আবা‌সিক এলাকার সুগন্ধা জেনা‌রেল স্টোর‌কে বে‌শি দা‌মে লবণ বিক্রয় করায় ১০ হাজার টাকা জ‌রিমানা করা হয়। অ‌ভি‌যোগকারী‌কে তাৎক্ষ‌ণিকভা‌বে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হয়। একই প্র‌তিষ্ঠানকে নি‌ষিদ্ধ এনা‌র্জি ড্রিংক, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য ও অননু‌মো‌দিত রং সংরক্ষণ করায় ২০ হাজার টাকা জ‌রিমানাসহ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়।

তু‌হিন নামের আরেক ভোক্তার অ‌ভি‌যো‌গের প্রে‌ক্ষি‌তে বেশি দামে লবণ বিক্রির অপরাধে পাঁচলাইশ থানাধীন খতিবের হাট এলাকার হাজি জেনারেল স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জ‌রিমানা করা হয়েছে। অ‌ভি‌যোগকারী‌কে তাৎক্ষ‌ণিক ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

মাছে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রং

বহাদ্দারহাট কাঁচাবাজা‌রের জ‌সি‌মের মা‌ছের দোকান‌কে মা‌ছে কৃ‌ত্রিম রং মেশা‌নোর অপরাধে ১০ হাজার টাকা জ‌রিমানা করা হয়। ধ্বংস করা হয়েছে রং মেশানো প্রায় ২০ কেজি মাছ।

ডবলমু‌রিং থানা এলাকায় হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলাপি তৈরির অপরাধে আপন বাড়ী রেস্তোরাঁকে ৫ হাজার টাকা, অননুমোদিত এনার্জি ড্রিংক ও কসমেটিকস বিক্রির অপরাধে পাহাড়তলীর  মক্কা সুপারশপকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই এলাকার এম রহমান স্টোরকে অননু‌মো‌দিত রং খা‌দ্যে ব্যবহা‌রের উ‌দ্দেশ্যে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জ‌রিমানাসহ সব রং ধ্বংস করা হয়। হালিশহর থানার মায়ের দোয়া স্টোর‌কে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জ‌রিমানা ক‌রা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad