ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দর ও অফডক রফতানি স্বাভাবিক রেখেছে ঈদের ছুটিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
বন্দর ও অফডক রফতানি স্বাভাবিক রেখেছে ঈদের ছুটিতে

চট্টগ্রাম:  দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক ১৯টি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) বা অফডক তৈরি পোশাকসহ রফতানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার সঠিক সময়ে শিপমেন্ট করতে সক্ষম হয়েছে ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে।

তৈরি পোশাক কারখানাগুলো পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে ঈদের ছুটির আগেই নির্দিষ্ট চালানগুলোর রফতানি পণ্য অফডকগুলোতে পৌঁছায়। এ সময় অফডকগুলোতে ৬৫ হাজার টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) ধারণক্ষমতার বিপরীতে কনটেইনার জমেছিল ৬৯ হাজার টিইইউ’স।

সোমবার (১৯ আগস্ট) যা কমে দাঁড়ায় ৫৮ হাজার ৯৭০ টিইইউ’স।

অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মো. রুহুল আমিন সিকদার বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঈদুল আজহাতে দেশের কলকারখানাগুলোতে দীর্ঘ ছুটি দেওয়া হয় শ্রমিকদের। দূরদূরান্ত থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চলে যান গ্রামের বাড়িতে। ফলে একদিকে কারখানা বন্ধ থাকে, অন্যদিকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার খালাস না নেওয়ায় বন্দর, অফডকে জমতে থাকে। কিন্তু অফডক বা বন্দর তো কনটেইনারের গুদাম না, স্টেশন মাত্র। তারপরও শত প্রতিকূলতাকে জয় করে আমরা সঠিক সময়ে শিপমেন্ট করতে সক্ষম হয়েছি রফতানি পণ্যভর্তি কনটেইনারগুলো।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির পর থেকে ক্রমে স্বাভাবিক হচ্ছে কনটেইনার ডেলিভারি। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি হয়েছে ৫ হাজার ২৮৪ টিইইউ’স। আগের দিন রোববার যা ছিলো ৩ হাজার ১৪৬ টিইইউ’স। সোমবার কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৬ হাজার ৪২১ টিইইউ’স। সকালে বন্দরে কনটেইনার রয়েছে ৪৫ হাজার ৮৫ টিইইউ’স।  

সোমবার বন্দরের এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবি বার্থে ১৩টি কনটেইনারবাহী জাহাজে হ্যান্ডলিং হয়েছে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিলো এ ধরনের ১৪টি জাহাজ। যেগুলো জোয়ারের সময় বার্থ খালি থাকা সাপেক্ষে ভিড়বে। এ ছাড়া জিসিবিতে তিনটি সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ এবং একটি সিমেন্ট ক্লিংকারবাহী জাহাজে পণ্য কালাস হয়। রিভার মুরিং ও স্পেশাল বার্থে ২টি সাধারণ পণ্য, ১টি ক্লিংকার ও ৪টি অয়েল ট্যাংকারে পণ্য খালাসের কাজ চলে। বহির্নোঙরে ৪০টি বড় জাহাজের পণ্য ছোট জাহাজে খালাসের কাজ চলে। এর মধ্যে সাধারণ পণ্যবাহী ১২টি, খাদ্যশস্যের ৩টি, সারের ৪টি, ক্লিংকার বোঝাই ১৬টি, চিনির ৩টি ও লবণ বোঝাই ২টি জাহাজ রয়েছে। কনটেইনারবাহী ১৪টি জাহাজসহ মোট অপেক্ষমাণ ছিলো ৩৪টি জাহাজ।  

বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, কনটেইনার ধারণক্ষমতাসহ বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, বন্দর ব্যবহারকারীদের আন্তরিকতার কারণে ঈদের টানা ছুটিতেও রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার সঠিক সময়ে শিপমেন্ট এবং আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক ছিলো। এখন যত দ্রুত আমদানিকারক ও শিল্পমালিকরা কনটেইনার বন্দর ও অফডক থেকে ডেলিভারি নেবেন ততই বন্দরের ওপর চাপ কমবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এআর/টিসি

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।