ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভেজাল পণ্যের উৎপাদক ও বিক্রেতারা দেশ ও ধর্মের শত্রু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
ভেজাল পণ্যের উৎপাদক ও বিক্রেতারা দেশ ও ধর্মের শত্রু জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম: ভেজাল খাদ্যপণ্যের উৎপাদক ও বিক্রেতারা দেশ ও ধর্মের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

নগরীতে পচা, বাসি ও ভেজাল পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও পরিবেশন থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত রাখার লক্ষ্যে নাগরিক পদযাত্রার তৃতীয় দিনে রোববার (১২ মে) চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজারে তিনি এ মন্তব্য করেণ।

সুজন বলেন, বাংলাদেশে ভোগ্য পণ্যে ভেজাল চরম আকার ধারণ করেছে।

শুধু ভোগ্য পণ্যই নয়, শিশুখাদ্য, প্রসাধন সামগ্রী এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল মেশানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানুষ কিডনি লিভার এবং ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হরহামেশাই।
সম্প্রতি বিভিন্ন ভেজালবিরোধী অভিযানে খাদ্যে ভেজালের ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটে উঠেছে। যা সত্যিকারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিভিন্ন নামী দামি এবং আস্থা রাখার মতো প্রতিষ্ঠানও ভেজাল খাদ্য উৎপাদন এবং বিক্রি করছে। জনগণ প্রতিনিয়ত এসব ভেজাল খাদ্য সামগ্রী জেনে কিংবা অজান্তে গ্রহণ করছে। ফলে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ডাক্তারের চেম্বারে বিপুল পরিমাণ রোগীর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মানুষ রোগে শোকে ভুগছে অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যদি খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারতো তাহলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হতো।

ভেজালের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা সময়ের দাবি উল্লেখ করে সুজন বলেন, খাদ্যে ভেজালকারীদের মাদক ব্যবসায়ীদের অনুরূপ সাজা দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান। এ ছাড়া ভেজালবিরোধী অভিযান সারা বছর পরিচালনা করতে হবে।

তিনি বাজারের মাছ, মাংস, শাকসবজি এবং অন্যান্য বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের খাদ্যে ভেজাল বন্ধ এবং পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য না নেওয়ার অনুরোধ জানান।

সুজন বিএসটিআই পরীক্ষায় নিম্নমানের প্রমাণিত ভোজ্যতেলসহ সব প্রকার পণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতি আহ্বান জানান। নয়তো সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব পণ্য বাজার থেকে জব্দ করে ধ্বংস করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে নাগরিক উদ্যোগ।

দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি নাগরিক উদ্যোগের নেতাদের নিয়ে নগরীর সোনালী আবাসিক এলাকা, হালিশহর কে ব্লক, আই ব্লক, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একাংশ, ফরিদার পাড়া, গোসাইলডাঙ্গাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার জনগণের ওয়াসার পানি না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে ওয়াসার এমডি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ওয়াসার এমডি অভিযোগসমূহ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, সংগঠনের সদস্যসচিব হোসেন কোম্পানি, আব্দুর রহমান মিয়া, মো. সেলিম, মো. রিজুয়ান, এজাহারুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন বাহাদুর, মো. শাহজাহান, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, শিশির কান্তি বল, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা, শেখ সরওয়ার্দী এলিন, রাজীব হাসান রাজন, শেখ মহিউদ্দিন বাবু, আব্দুল মালেক, হাসান মুরাদ, আশীষ সরকার নয়ন, মেহেদী হাসান সনন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।