ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের ১৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের ১৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) নকশা

চট্টগ্রাম: বছরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে নির্মিত চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে ৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক কর্মী এ সাইটে কাজ করছেন। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার এ প্রকল্পে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে।

বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান সরকার।

তিনি বলেন, পিসিটিতে ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার লম্বা ও ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) ৩টি কনটেইনারবাহী জাহাজ এবং ২২০ মিটার দীর্ঘ ডলফিন জেটিতে ১টি ভোজ্যতেলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে।

৩২ একর জমিতে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পে ব্যাকআপ ইয়ার্ড থাকবে ১৬ একর। যেখানে ৪ হাজার ৫০০ টিইইউ’স কনটেইনার ধারণক্ষমতা থাকবে।

এ প্রকল্পে ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটারের আরসিসি পেভমেন্ট (অভ্যন্তরীণ ইয়ার্ড ও সড়ক), ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশন (সিএফএস) শেড, ৬ মিটার উঁচু ১ হাজার ৭৫০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, ৫ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের পোর্ট অফিস ভবন, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটারের যান্ত্রিক ও মেরামত কারখানা, বিমানবন্দরগামী গাড়ি চলাচলের জন্য ৪২০ মিটারের ফ্লাইওভার, চার লেনের পৌনে ১ কিলোমিটার এবং ছয় লেনের ১ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নিমাণ করা হবে।

এ টার্মিনালে ৪টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), ৮টি রাবার টায়ারর্ড গ্যান্ট্রি (আরটিজি), ৪টি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার, ৪টি রিচ স্ট্যাকার, ১টি রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরএমজি), ৪টি লো-মাস্ট ফর্ক লিফট, ২টি ফায়ার ট্রাক, ১টি ফায়ার কার, ৩টি নিরাপত্তা পেট্রোল কার, ১টি অ্যাম্বুল্যান্স, ৫০ টনের দুইটি টাগ বোট, ২টি পাইলট বোট, ২টি ফার্স্ট স্পিড বোট থাকবে। ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। চলতি বছরের (২০১৯) ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

এ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কাস্টম, মেরিন ফিশারিজ, ওমেরা ও রেড ক্রিসেন্টের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া। ইতিমধ্যে কাস্টম ও মেরিন ফিশারিজ অফিস বন্দরের অন্য স্থাপনায় সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ইনকনট্রেন্ড ডিপোর পেছনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্থায়ী জায়গাও। রেড ক্রিসেন্টের দুইটি বড় গুদামে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য সংরক্ষিত জরুরি ত্রাণসামগ্রী থাকায় আপাতত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। ইনকনট্রেন্ড ডিপোর পাশে স্থায়ীভাবে গুদাম তৈরি করে দেওয়া হবে রেড ক্রিসেন্টকে। ওমেরার তৈলাধারগুলো (ট্যাংক) স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত পিসিটির এক কোনায় হওয়ায় ওমেরার স্থাপনার চারপাশে সীমানাপ্রাচীর তুলে দিয়ে অপারেশনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের।

মো. মিজানুর রহমান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, একটি আধুনিক টার্মিনাল হবে পিসিটি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পিসিটির কাজ সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর। আশাকরি, নির্ধারিত সময়ে পিসিটি অপারেশনে যেতে সক্ষম হবে।  

২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ২০ ফুট দীর্ঘ (টিইইউ’স) ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। ২০১৭ সালে যা ছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টিইইউ’স।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।