বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার অফিসের আলমারিতে ৬ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সমুদ্রগামী জাহাজকে ছাড়পত্র প্রদানে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মু. মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ ও মো. হুমায়ুন কবীর এ অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানের একপর্যায়ে নাজিমুদ্দিনের ব্যবহৃত স্টিল আলমিরা খুলে দুদক টিম ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে তা জব্দ করে। এর পরপরই দুদক টিম উদ্ধারকৃত টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করে।
কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, দুদকের অভিযানের প্রেক্ষিতে ওই আরওকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা কাস্টম হাউসের প্রশাসন ও স্টাফ শাখার মতো কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
এ অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে দুদক এ অভিযান চালিয়েছে। দেশের রাজস্ব আদায়ের প্রবেশদ্বারকে অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। শিপিং এজেন্টসহ ব্যবসায়ীরা ঘুষ প্রদানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে এবং ঘুষ প্রদানে বিরত থেকে দুদকে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করলে এ ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে দুদক অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেবে। দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করবে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার না হয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো মুহূর্তে এ ধরনের অভিযান আরও চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এআর/টিসি