ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৬ লাখ টাকাসহ কাস্টম কর্মকর্তা গ্রেফতার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
৬ লাখ টাকাসহ কাস্টম কর্মকর্তা গ্রেফতার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

চট্টগ্রাম: দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অভিযান চালিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) নাজিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার অফিসের আলমারিতে ৬ লাখ টাকা পাওয়া যায়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সমুদ্রগামী জাহাজকে ছাড়পত্র প্রদানে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মু. মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ ও মো. হুমায়ুন কবীর এ অভিযানে অংশ নেন।

 

অভিযানের একপর্যায়ে নাজিমুদ্দিনের ব্যবহৃত স্টিল আলমিরা খুলে দুদক টিম ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে তা জব্দ করে। এর পরপরই দুদক টিম উদ্ধারকৃত টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করে।

দুদকের হাতে গ্রেফতার  কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজিমুদ্দিন।  ছবি: বাংলানিউজকাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, দুদকের অভিযানের প্রেক্ষিতে ওই আরওকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা কাস্টম হাউসের প্রশাসন ও স্টাফ শাখার মতো কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

এ অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন,  দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে দুদক এ অভিযান চালিয়েছে। দেশের রাজস্ব আদায়ের প্রবেশদ্বারকে অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। শিপিং এজেন্টসহ ব্যবসায়ীরা ঘুষ প্রদানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে এবং ঘুষ প্রদানে বিরত থেকে দুদকে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করলে এ ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে দুদক অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেবে। দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করবে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার না হয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো মুহূর্তে এ ধরনের অভিযান আরও চালানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।