ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা বেকায়দায় পড়েছেন। সামর্থ্যবান অনেকে ঢাকায় গিয়ে সেবা নিলেও গরীব-অসহায়রা অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
এর আগে তিন বছর পর গত ১৩ নভেম্বর হাসপাতালে রেডিওথেরাপি সেবা চালু হয়। এতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকা মানুষগুলোর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
রেডিওথেরাপি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কোবাল্ট-৬০’ নামের এ মেশিনটি স্বাস্থ্য অধিদফতর চমেক হাসপাতালকে বরাদ্দ দেয়। অত্যাধুনিক ওই মেশিনের একটি অংশ গত ২৬ ডিসেম্বর নষ্ট হয়ে যায়। তার পর থেকেই মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে। চট্টগ্রামে আর কোনো সরকারি হাসপাতালে ওই মেশিন নেই। যে কারণে রেডিওথেরাপির জন্য ঢাকায় যেতে হচ্ছে রোগীদের।
টেকনিশিয়ানরা জানান, ক্যালিব্রেশনের (ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করার রশ্মি) কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বিভাগের সামনে গিয়ে রেডিওথেরাপি সেবার কক্ষটি বন্ধ দেখা যায়। এ ছাড়া অনেক রোগী ফিরে যাচ্ছেন সেবা না পেয়ে।
বিভাগের সামনে কথা হয় আবদুল আজিজ নামে এক ক্যান্সার রোগীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রেডিওথেরাপি দিতে এলে এখানকার লোকজন জানান, মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। সচল না হওয়া পর্যন্ত সেবা পাওয়া যাবে না। তবে কখন চালু হবে সেবা; সেটা তারা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। ’
বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ‘সেবা চালুর পর প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী রেডিওথেরাপি নিয়েছেন। মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে রোগীরা রেডিওথেরাপি সেবা পাচ্ছেন। ’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে মেশিনটি আবারও সচল করা সম্ভব হবে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘একটি পার্টস ঠিকমতো কাজ করছে না। ’
‘কানাডা, ভারত ও দেশীয় ইঞ্জিনিয়ারিং টিম মেশিনটি দেখতে আসবে। আশা করি চলতি সপ্তাহে সেবা চালু করা সম্ভব হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি