মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে নিরন্তর যিনি কাজ করে যাচ্ছেন তিনি দেশ বরেণ রাজনীতিবিদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সন্তান সাঈদ আল নোমান। উচ্চ শিক্ষায় ব্যতিক্রমি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান তিনি।
সদ্য উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে আসা ২৬ বছরের যুবকের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা শুনে রীতিমত বিস্মিত হয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু দৃঢ় প্রত্যয় আর আত্মবিশ্বাস তাকে সফলতা এনে দিয়েছে।
মাত্র ৯ বছরে বেসরকারি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া বাংলাদেশে বিরল। কিন্তু সেই কঠিন কাজটি করেছেন সাঈদ আল নোমান। সেটি সম্ভব হয়েছে নির্মোহভাবে কাজ করতে পারায়। যা সম্ভব হয়েছে বাবা আবদুল্লাহ আল নোমানের কারণেই। তিনি পুরোদমে একজন রাজনীতিবিদ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রভাব পড়তে দেননি। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে সেটি সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল বলে মনে করেন সাঈদ আল নোমান।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউতে) ‘ক্যাম্পাস ট্যুরের’ আয়োজন করা হয়। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর খুলশীর পূর্ব নাসিরাবাদের নোমান সোসাইটির ইডিইউর স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন সাঈদ আল নোমান।
রাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ, সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খুবই কঠিন উল্লেখ করে সাঈদ আল নোমান বলেন, যেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। সেখানে প্রচুর সুপারিশ আসে। কিন্তু এখানে কেউ আলাদা কোন সুযোগ পায়নি।
‘রাজনৈতিক অথবা পরিবারের পছন্দের মানুষ হিসেবে কেউ নিয়োগ পায়নি। এখানে যারা চাকরি করেন তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ কী সেটা আমরা জানি না। আমরা জানতেও চাইনা। ’
মা-বাবা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার বাবা-মায়ের আমাদের জন্য যে ইনভেস্টমেন্ট সেটা হলো পড়াশোনা। পড়াশোনা নিয়েই সব স্বপ্ন তাদের। আমার মায়ের শিল্প যদি হয় পড়াশোনা, আমার বাবার রাজনীতি। অর্থাৎ সোশ্যাল ওয়ার্ক। তার কাছে রাজনীতি মানে আর অন্য কিছুই নয়। এটা এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য। তিনি দলের উর্ধ্বে চলে গেছেন। সেই জায়গা থেকে আমি চিন্তা করেছি চট্টগ্রামে আমার দায়বদ্ধতা আছে। এখানকার জন্য আমি কী করতে পারি।
‘আমার মা সারাজীবন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে গেছেন। বাবা সমাজসেবা করতে গিয়ে শিক্ষার প্রতি দুর্বল ছিলেন। পারিবারিক উৎসাহ থেকে আন্তর্জাতিকমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার তাগিদ অল্পবয়স থেকেই অনুভব করেছি। ’
সাঈদ আল নোমান বলেন, একটা প্রতিশ্রুতি নিয়ে চট্টগ্রামে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। দেড় বছরে আগ্রাবাদে ক্যাম্পাস তৈরি করি। মানুষকে দেখানো যে আমরা কিছু করছি। ৫ জন ছাত্র পেলাম। সেই পাঁজন থেকেই শুরু। ইডিইউতে পড়ে তারা সবাই সন্তুষ্ট। তারা ভালভাবেই প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এমইউ/টিসি