জেএসসি পরীক্ষায় একইভাবে গতবছরের চেয়ে ফলাফল সব সূচকে কমেছে। গতবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে এবছর জেএসসিতে পাসের হার ৮১.১৭ শতাংশ।
এবার বাংলা ১ম পত্রে ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও বাংলা ২য় পত্রে ৯৮ দশমিক ৯১ শতাংশ পাস করলেও ইংরেজি ১ম পত্রে পাসের হার ৯৩ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ইংরেজি ২য় পত্রে ৯০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বাংলানিউজকে জানান, জেএসসি পরীক্ষায় এবছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ। শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৮টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২১২টি স্কুলের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৩১৫ জন। জিপিএ-৪ থেকে ৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৪৯৬ জন, জিপিএ-৩.৫০ থেকে ৪ পেয়েছে ২২ হাজার ৬৯২ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩.৫০ পেয়েছে ৩০ হাজার ৪৬০ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩ পেয়েছে ৫০ হাজার ২৭৮ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৭৩ জন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর পাসের হার ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এরমধ্যে মহানগরে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মহানগরবাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৭৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৯০ দশমিক ৬১ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৯৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। রাঙ্গামাটি জেলায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৮৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
জেএসসিতে এবছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫০৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৮ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৬৬ হাজার ৩৩৯ জন ছাত্র এবং ৮০ হাজার ৪৭৫ জন ছাত্রী। এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০ হাজার ৩১৫ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৫ জন ছাত্র এবং ৫ হাজার ৯৬০ জন ছাত্রী রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘যথারীতি প্রত্যন্ত ও পার্বত্যাঞ্চলে পাসের হার কম থাকায় সামগ্রিকভাবে এবার পাসের কমেছে। বিশেষ করে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে পাসের হার অনেকটা কম। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে দক্ষ ও মানসম্পন্ন শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে এ দুটি বিষয়ের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে শিক্ষকদের আরও বেশি তৎপর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ’
স্কুল পাঠদানে বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি মনিটরিং বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এসবি/টিসি