ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ মে ২০২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাঁদা না পেয়ে গুলি করা সেই সন্ত্রাসীদের তিনজন গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৮, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
চাঁদা না পেয়ে গুলি করা সেই সন্ত্রাসীদের তিনজন গ্রেফতার চাঁদা না পেয়ে গুলি করা সেই সন্ত্রাসীদের তিনজন গ্রেফতার

চট্টগ্রাম: আকবর শাহ থানা এলাকায় চাঁদা না পেয়ে গুলি করা সেই সন্ত্রাসীদের মধ্যে তিনজনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই তিন সন্ত্রাসী হলেন, মো. মিলন (২০), মো. হান্নান (৪৫) ও মো. ওমর ফারুক (২৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে বন্দুক, গুলি, কার্তুজ, চাইনিজ কুড়াল, দেশিয় অস্ত্র ও রকেট লাঞ্চার শেলের ব্যবহৃত খোসা পাওয়া যায়।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ।

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে আকবর শাহ থানার মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পাশে আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ নামের এক ব্যক্তির জায়গায় মো. কামাল উদ্দিন ঠিকাদারের অধিনে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণকাজ করছিলেন মো. মিজান নামের এক যুবক।

এসময় গ্রেফতার হওয়া তিন সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে আরও ১০-১২জন ওই জায়গায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে নির্মাণকাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং ঠিকাদার ও মিলনসহ অন্যান্য শ্রমিকদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে গুলি করে মেরে ফেলা হবে বলেও সেসময় সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে একইদিন রাত ৮টায় সময় কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার পথে জঙ্গল লতিফপুর এলাকায় মিজানকে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা চাঁদা না দেওয়ায় এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এসময় মিজান দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হান্নানের নির্দেশে এক সন্ত্রাসী মিজানকে পেছন দিক থেকে এক রাউন্ড গুলি করে। গুলিটি মিজানের পিঠের নিচের অংশে লাগলে গুরুতর আহত মিজান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

এসময় মিজানের স্বজনরা আসলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। মিজানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় আহত মিজানের ছোট ভাই মো. আকবর হোসেন জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে  একটি মামলা করেন। এরপর ভোরে হান্নানের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে দুই সহযোগী সন্ত্রাসীসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

আকবর শাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উৎপল কান্তি বড়ুয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তিন সন্ত্রাসীর কাছ থেকে একটি দেশিয় তৈরি কাঠের বাটযুক্ত এলজি, কার্তুজ, চারটি কিরিচ, তিনটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল ও রকেট লাঞ্চার সেল উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।