ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনের পোর্ট এক্সপোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম বন্দরের নবনির্মিত কারশেডে পোর্ট এক্সপোর আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীন একটি দেশ এনে দিয়েছেন।
সমুদ্রকে ব্যবহার করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বড় সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বন্দরের শ্রমিকদের অনেক অবদান আছে। যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের হত্যা করার জন্য বিভিন্ন জাহাজে করে অস্ত্র নিয়ে আসছিল, বিশেষ করে সোয়াত জাহাজ যখন আসে তখন শ্রমিকরা বাধা দেয়। এতে ২৩ জন শ্রমিক শহীদ হন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বন্দর ধ্বংসস্তুপ ছিল। এখানে মাইন পোঁতা ছিল। রাশিয়া মাইনমুক্ত করে ব্যবহার উপযোগী করে দেয়। এতে বন্দর সচল হয়। বন্দর শুধু বাংলাদেশ না প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। ফলে প্রতিবেশী যে দেশগুলো আছে তাদের এই বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।
ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থান এমন একটা জায়গায় যে এখান থেকে বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ। বন্দরকে উন্নত ও আধুনিক করার ক্ষেত্রে আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। সব ক্ষেত্রেই আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। বন্দরের আধুনিকায়নে সবসময় গুরুত্ব দিচ্ছি। সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চাই। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন তার সেই আদর্শ নিয়েই সরকার গঠনের পর থেকে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
বাঙালি জাতি অবহেলিত নির্যাতিত, নিপীড়িত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ চাই। দেশের প্রতিটা মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ পায়। উন্নত জীবন যাপন করতে পারে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
‘ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও গতিশীল করাই আমাদের লক্ষ্য। বন্দর আমাদের দেশের জন্য বিশাল সম্পদ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এমইউ/আইএসএ/টিসি