গেইটপাসে দেওয়া নামের সঙ্গে মিল না থাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নাম ঠিক করে বলতে বললেন। তবে গেইটপাসে লেখা নাম বলতে পারেননি অক্ষরজ্ঞানহীন শ্রমিক মোস্তফা।
এতে ক্ষিপ্ত হলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
মোস্তফাকে কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না বুঝতে পারিনি। তবে বিষয়টা পরিষ্কার হলো মোস্তফার সঙ্গে কথা বলার পর। মোস্তফা জানান স্বপন মাঝির অধীনে চাকরি করেন। মাঝি যে গেইটপাস দেন সেখানে তার ছবি লাগিয়ে বন্দরে প্রবেশ করেন। গেইটপাসে কার নাম লেখা মূখ্য হয়ে উঠেনি কখনো। বন্দরে প্রবেশ করতে সমস্যা হয়নি।
তবে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) গেইটের নিরাপত্তারক্ষী চোখ উল্টালেন কেন? প্রশ্নের উত্তর শ্রমিক মোস্তফা বুঝতে না পারলেও বাংলানিউজের কাছে পরিষ্কার। মোস্তফা গেইটে প্রবেশ করার আগেই বাংলানিউজের প্রতিবেদক সেখানে উপস্থিত হন। বন্দরে পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নিরাপত্তারক্ষী।
পরে দায়িত্বরত গেইট সার্জনের কাছে রাতের তথ্য জানতে চাইলে তিনিও অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোস্তফার সঙ্গে কথা হয়।
বরিশাল জেলার রাজপুর থানার মীর মকবুলের ছেলে মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, ৭ নম্বর বার্থে থাকা একটি গম বোঝাই জাহাজে কাজ করছেন গত ছয়দিন ধরে। একই পাস দিয়ে গত ৫ দিন বন্দরে প্রবেশ করেছেন।
তিনি বলেন, মাঝি শ্রমিকদের জন্য ১০ দিনের পাস নিয়ে থাকেন। ওই পাস দিয়ে যে কোন শ্রমিক বন্দরে প্রবেশ করতে পারে। তাই পাসে কার নাম লেখা থাকে তা আমরা জানি না।
বন্দরে প্রবেশ করতে না পারলে সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১২ ঘণ্টা চাকরি করে ৬০ টাকা পাই। আজ কাজ করতে না পারলে টাকা পাব না। মোস্তফা জানান, গম বোঝাই জাহাজে মোট চারজন শ্রমিক কাজ করবে। ফলে তিনি প্রবেশ করতে না পারলে বাকি তিনজন শ্রমিকও কাজ করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এমইউ/টিসি