আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে একরাশ লজ্জা সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজের দল মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে দুইবার নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ভেঙে এক অন্ধকার অধ্যায়ের জন্ম দিলো।
যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই বছর আগেও ওয়ানডেতে অপরাজেয় ছিল বাংলাদেশ, তারাই এখন হয়ে উঠেছে অদম্য প্রতিপক্ষ। ২০২৩ সালে প্রথম সিরিজ হারের পর ২০২৪ সালে ব্যবধান ছিল ২-১। আর এবার ৩-০ ব্যবধানের এই হোয়াইটওয়াশ যেন টাইগারদের অসহায় আত্মসমর্পণের প্রতিচ্ছবি।
এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য কেবলই হারের নয়, বরং লজ্জার রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলাতেও পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানে গুটিয়ে যাওয়াটাই ছিল আফগানদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের বিব্রতকর রেকর্ড। কিন্তু সেই লজ্জা স্থায়ী হলো না ৭২ ঘন্টাও।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৯৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হলো মাত্র সর্বনিম্ন ৯৩ রানে, যা এখন নতুন লজ্জার পরিসংখ্যান। তাতে ২০০ রানের বিশাল জয় পেল আফগানিস্তান। এমনকি রানের হিসাবে আবুধাবিতে এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
দলের এই ভরাডুবির পেছনে ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন শট নির্বাচন, টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং মিডল অর্ডারের দুর্বলতাই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। আফগানদের বিপক্ষে এই শোচনীয় হার শুধু সিরিজেই নয়, দলের আত্মবিশ্বাসের তলানিতেও নিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এই হোয়াইটওয়াশ এবং বারবার ভাঙা লজ্জার রেকর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান সংকটকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।
এফবি/এমএইচএম