ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

ক্রিকেট

বালবার্নির ফিফটির পর ক্যাম্ফারের ব্যাটে আইরিশ রূপকথা, হারল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
বালবার্নির ফিফটির পর ক্যাম্ফারের ব্যাটে আইরিশ রূপকথা, হারল পাকিস্তান

শাহিন শাহ আফ্রিদির ফুলটসে বোল্ড হয়ে কিছুক্ষণের জন্য জায়গায় বসে রইলেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি। এতদূর টেনে আনার পর ম্যাচটা বুঝি হাতছাড়া হয়ে গেল, এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন তিনি।

কিন্তু তার লড়াইকে বৃথা যেতে দেননি নতুন ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফার। বালবার্নি আউট হওয়ার সময় জয় থেকে ১৬ রান দূরে ছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের এক বল বাকি রেখে সেই রান একাই তুলে ফেলেন ক্যাম্ফার, আর জন্ম দিলেন আরও একটি আইরিশ রূপকথার।

ডাবলিনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই তাদের প্রথম জয়। ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৭ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। তবে দলকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি বালবার্নি। শুরুর চাপ সামলে হ্যারি টেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। ২৭ বলে ৩৬ করা টেক্টরকে ফিরিয়ে তা ভাঙেন ইমাদ ওয়াসিম।

এরপর উইকেটে এসেই রান তোলার গতি বাড়ান জর্জ ডকরেল। তার ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে জয়ের বিশ্বাস আরও বেড়ে যায় আইরিশদের। তার ওপর এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন বালবার্নি। তবে ডকরেলের পর নিজেও যখন সাজঘরে ফেরেন তখন কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তা কাজ করছিল তার মনে।

৫৫ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হন বালবার্নি। তার পরিবর্তে ক্রিজে আসা ক্যাম্ফার নিজের প্রথম বলেই রিভার্স স্কুপে চার হাঁকান। আব্বাস আফ্রিদির শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণটি এক বল হাতে থাকতেই মিলিয়ে দেন তিনি। উইনিং শটটি লেগ বাইয়ের মাধ্যমে এলেও ৭ বলে ৩ চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। অপরদিকে ৬ বলে ১ চারে ১০ রান নিয়ে ভূমিকা রাখেন গ্যারেথ ডিল্যানিও। পাকিস্তানের হয়ে দুই উইকেট নেন আব্বাস। এছাড়া একটি করে শিকার শাহিন, নাসিম শাহ ও ইমাদের।      

পূর্ণশক্তির দল নিয়ে এসেও আইরিশদের ওপর সেভাবে ছড়ি ঘোরাতে পারেনি পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম ২৯ বলে ৪৫ রান তুললেও সেই তুলনায় বাবর ছিলেন কিছুটা মন্থর। ৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ রান করেন পাক অধিনায়ক।

এই জুটি ভাঙার পর কিছুটা পথ হারায় পাকিস্তান। তবে ইফিতিখার আহমেদ ও শাহিন আফ্রিদির ক্যামিও ইনিংসের কারণে ৬ উইকেটে ১৮২ রান করতে পারে তারা।  ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ইফতিখার ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ১৫ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। স্বাগতিকদের হয়ে ক্রেইগ ইয়াং দুটি, মার্ক অ্যাডায়ার ও ডিল্যানি নেন একটি করে উইকেট।  কিন্তু আইরিশ রূপকথার সামনে আজ চাপা পড়ে গেল ইফতি ম্যানিয়া! যে রূপকথার নায়ক বালবার্নি।   

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪

এএইচএস

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।