নীলফামারী : চলতি মৌসুমে ব্রি-১০৫ বা ডায়াবেটিক ধান আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক ফজলুর রহমান।
এ ধানের ভাত ডায়াবেটিকস রোগীরা খেতে পারবেন এমনটি বলছেন চিকিৎসকরা।
এই ধানের চালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ায় এটিকে ‘ডায়াবেটিক ধান’ বলা হচ্ছে। পল্লীকর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে এবং বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সির তত্ত্বাবধানে শার্প সংস্থার সহযোগিতায় কৃষক ফজলুর রহমান এ ধান চাষ করেন।
সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) কৃষকদের বীজ সংরক্ষণ ও কৃষকরা যাতে বাজারজাত করতে পারে সেজন্য প্রশিক্ষণ, উপকরণসহ সহযোগিতা দিয়ে আসছে। ব্রি ধান -১০৫ বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে কৃষকদের। কারণ এটিতে পুষ্টিমান যেমন আছে তেমনি এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) অনেক কম।
কৃষক ফজলুর রহমান জানান, এই ধান উচ্চ ফলনশীল এবং সাধারণ ধানের মতোই চাষ করা যায়।
এলাকাবাসী জানান, এই ধান অন্যান্য ধানের মতোই দেখতে, ফলন ভালো হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ধীমান ভূষণ বলেন, সাধারণত খাদ্যে জিআই ৫৫ বা এর নিচে থাকলে সেটিকে কম জিআই সম্পন্ন খাদ্য বলা হয়। ব্রি ইনিস্টিটিউটের গবেষণায় ব্রি ধান-১০৫-এ জিআই এই মাত্রার নিচে পাওয়া গেছে। তাই এটি নিঃসন্দেহে ডায়াাবেটিসের রোগীদের জন্য একটি উপযোগী খাবার। তবে এই ধানের ভাত সাধারণ মানুষও খেতে পারবেন।
এএটি