ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

যাত্রাবাড়ীতে যুবলীগ নেতার ‘চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে মিছিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
যাত্রাবাড়ীতে যুবলীগ নেতার ‘চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে মিছিল

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে মিছিল করেছেন লেগুনা ও হিউম্যান হলার মালিকরা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে তারা মিছিল করেন। এছাড়া তারা জুরাইন টু যাত্রাবাড়ী তাদের লেগুনাগুলো চাঁদাবাজির পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ রাখেন।

যাত্রাবাড়ী টু জুরাইন ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও লেগুনার মালিক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রাবাড়ী ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা সায়েম খন্দকারের নির্দেশে প্রতিদিন আমাদের প্রতি লেগুনা থেকে ৭০০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে আসছিলেন তার লালিত চাঁদাবাজ বাহিনীর সাইদুল, আসাদ, আলামিন, সুমন ও ইমন। চাঁদা না দিলে তারা আমাদের চালক ও হেলপারকে মারধর করতেন। এসময় তারা বলতেন, সায়েম খন্দকারের নির্দেশ, চাঁদা দিতেই হবে।

লেগুনার অপর এক মালিক মো. হাবিব বলেন, সায়েম খন্দকার যাত্রাবাড়ী ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তার চাঁদাবাজিতে পরিবহন সেক্টর অস্থির হয়ে পড়েছে। প্রতিটি লেগুনা থেকে ৭০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকেন এ সায়েম। এর প্রতিবাদ করায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীকে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ আটক করে। পরে থানায় গিয়ে এর প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

তিনি আরও বলেন, যুবলীগ সভাপতি সায়েমের চাঁদা নেওয়ার প্রতিবাদে সকাল থেকে আমরা লেগুনা বন্ধ রেখেছি। আমাদের লেগুনা যাত্রাবাড়ীর জুরাইন হয়ে ঢাকা ম্যাচ এলাকায় পর্যন্ত যেত। এখন পর্যন্ত আমাদের লেগুনা বন্ধ আছে। সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম তার সঙ্গে আমাদের দেখা করতে বলেছেন। আমরা তার সঙ্গে কথা বলবো। কথা বলে পরে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।

হাবিব বলেন, দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ঢাকা-৫ আসনের মো. হাবিবুর রহমান মোল্লার বাসায় তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি অসুস্থ ছিলেন বিধায় আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তবে তার পিএ আমাদের এমপির বরাত দিয়ে বলেছেন, আপনারা কাউকে চাঁদা দেবেন না।  

যাত্রাবাড়ী ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি সায়েম খন্দকারের এ ০১৬১১ ১১০০০২  যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেনকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল কথা বলার জন্য। কথা শেষে তিনি চলে যান।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে আইনগতভাবে সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে লেগুনা মালিকদের সন্ধ্যায় ডেকেছি থানায়। তারা সবাই আসবেন। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলে ঘটনা জানার চেষ্টা করবো। যুবলীগ নেতা সায়েম খন্দকারের বিরুদ্ধে থানায় কোনো জিডি নেই।  

মাজহারুল ইসলাম বলেন, যেকোনো চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। চাঁদাবাজদের অস্তিত্ব যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এজেডএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।