ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন, নেতাকর্মীদের ড. মোশাররফ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন, নেতাকর্মীদের ড. মোশাররফ জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: শাকিল

নয়াপল্টন থেকে: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ দেশে খালেদা জিয়া ও বিএনপি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। সারা দুনিয়া চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ নির্বাচন এভাবে হবে না। এজন্য নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নামতে হবে।
 

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ আহ্বান জানান। জনসভার মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনসভা সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী। জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  ছবি: শাকিলপ্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজ দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছি, কারণ দলের চেয়ারপারসন কারাগারে। আওয়ামী লীগ বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি করেছিলো। জিয়াউর রহমান সেই শূন্যতাপূরণ করেন।

‘আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, জিয়াউর রহমান সেখানে সফল হয়েছেন, সেজন্য বিএনপিকে তারা এত ভয় পায়। যার প্রমাণ আজকের জনসভাও। এ সভা আজ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বলতে চাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ’

সরকারি আমলাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমলাদের বলছি আপনারা তফসিল ঘোষণার আগেই নিরপেক্ষ হয়ে যান। জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।  ছবি: শাকিলবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মী এবং দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য যতবার চেষ্টা করেছি, ততবার সরকার আটকে দিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় নেত্রীর মুক্তি সম্ভব নয়, তার মুক্তির একমাত্র পথ রাজপথ, তাই রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।  ছবি: শাকিলবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমানের অপরাধ তিনি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে, তার অপরাধ তিনি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে।

‘সরকার নানাভাবে দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এবার ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। তাই চার হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নতুন ইভিএম আনতে চায়, কিনতে পারলে লাভ হবে। সাধারণ মানুষ এর ব্যবহার করতে পারুক আর না পারুক। ’প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির জনসভা।  ছবি: শাকিল/বাংলানিউজএদেশের মানুষ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে সমৃদ্ধশালী করেছিলেন। তাই এদেশের জনগণ কখনও তার নাম ভুলে যাবে না। খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

জমির বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, যেভাবে ইচ্ছা দেশ চালাচ্ছেন, এভাবে দেশ চলতে পারে না। দেশে যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, আমরা যদি অংশ নিতে পারি, তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, আবার সু’দিন আসবে, দেশ ভালোভাবে চলবে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এরই অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে এ জনসভা করে বিএনপি।

এর আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ দেশব্যাপী বিএনপির কার্যালয়গুলোতে সকাল ৬টায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পরে সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন দলের সিনিয়র নেতারা।

** তরুণ প্রজন্ম আ.লীগকে ভোট দেবে না: মওদুদ
** এভাবে দেশ চলতে পারে না: জমির উদ্দিন 
** ‘খালেদাকে বেশি আটকে রাখলে জেলে তার সঙ্গে দেখা হতে পারে’
** পতন ঘণ্টা বেজে গেছে, সরকারকে মির্জা আব্বাস

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।