শনিবার (২৩ মে) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান কাউন্সিলর খোরশেদ। এখন পর্যন্ত তার টিম ৫৫টি মরদেহ দাফন করেছে করোনার শুরু থেকে।
ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন থেকে শত শত মরদেহ দাফনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিলেও কার্যত করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর মানুষ খোরশেদের টিমকে ফোন দিচ্ছেন এবং তাদের উপর আস্থা রাখছেন। এছাড়াও ঈদের পরদিন থেকে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের যারা স্বেচ্ছায় রক্তের প্লাজমার জন্য রক্তদান করতে চান তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্তগ্রহণ কার্যক্রম করবেন তার টিম।
খোরশেদ জানান, সম্প্রতি কয়েকটি মরদেহ দাফনের সময় আমরা শরীরে অন্যরকম দাগ ফুটে উঠতে দেখতে পাচ্ছি। এগুলো করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়াদের। এ ধরনের উপসর্গ আমেরিকাতে আক্রান্তদের মৃত্যুর পর পাওয়া গেছে বলে জেনেছি। যদি এটি হয়ে থাকে তাহলে খুবই ভয়াবহ দিক এটি। আমরা ঈদেও প্রস্তুত রয়েছি।
খোরশেদ নিজের উদ্যোগে করোনার শুরু থেকেই তার ওয়ার্ডের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্কট হওয়ার পর নিজে হাজার হাজার বোতল তৈরি করে বিতরণ করেন, ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। করোনায় আক্রান্তদের দাফন পাশাপাশি সৎকার কাজের অংশ নিচ্ছেন। এলাকায় সড়কে ও ঘরে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন, যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে স্প্রে অব্যহত রেখেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন ও মাইকে ঘরে ঘরে দোয়ার ব্যবস্থা করেছেন, মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রতি এলাকায় মাইকিং করাচ্ছেন, নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে টিম গঠন করে এলাকায় এলাকায় আড্ডা বন্ধ করতে অনুরোধ করছেন এবং তার ওয়ার্ডবাসীর স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে টেলি মেডিসিনসেবা চালু করেছেন তিনি। এছাড়া শুধু তার ওয়ার্ড নয়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনে কেউ এগিয়ে না এলেই তিনি ও তার স্বেচ্ছাসেবক টিম এগিয়ে আসছেন। তার ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি বিনামূল্যে সবজি বিতরণ কার্যক্রমও শুরু করেছেন এবং এটি ঈদের পরও অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এএটি