নৌ-বাহিনীর কন্টিজেন্ট কমান্ডার নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, জনগণকে সচেতন করতে ইতোমধ্যে নৌ-বাহিনীর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় দুটি কন্টিজেন্ট এসেছে।
এদিকে, সকাল থেকেই জেলার দূরবর্তী চরগুলোতে খেয়া পারাপারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সঙ্গে নৌপথে পুরো জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনসহ ৩৭৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে সদরে ১০৪ জন, দৌলতখানে ৪৯, লালমোহনে ৩৯, চরফ্যাশনে ৫২, তজুমদ্দিনে ৬৫, মনপুরায় ৩১, বোরহানউদ্দিনে ৩৫। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় ১২০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, ভোলা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বসাধারণের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়। গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা তাদের সহযোগিতা করেন। দুপুরের পর থেকে শহরে মানুষের সমাগম অনেক কম দেখা গেছে, তবে সীমিত আকারে রিকশা ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। মার্কেট, শপিং মল বন্ধ রয়েছে, খোলা রয়েছে ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতে অবস্থান করছেন। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল দিচ্ছে।
বাংলাদেম সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এনটি