ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইরানে করোনায় মৃত্যু ৪ হাজার ছুঁইছুঁই, ঋণসহায়তা চান রুহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২০
ইরানে করোনায় মৃত্যু ৪ হাজার ছুঁইছুঁই, ঋণসহায়তা চান রুহানি

এশিয়ায় চীনের পরপরই করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ভুক্তভোগী ইরান। করোনা মোকাবিলায়  কঠোর মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশটির জেরবার দশা। নিষেধাজ্ঞার কারণে অতি প্রয়োজনীয় অনেক মেডিক্যাল সামগ্রীও আমদানি করতে পারছে না দেশটি। অন্যদিকে দিন দিন সেখানে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এরই মাঝে ইরানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজারের ঘর ছুঁইছুঁই করছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মারা গেছেন ১২১ জন। এর মধ্য দিয়ে সরকারি হিসেবে সেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৯৯৩ জনে।

বুধবার (৮ এপ্রিল) ইরানের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুরের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, ১২১ জনের মৃত্যু ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে নতুন করে ১ হাজার ৯৯৭ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।  এতে করে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৬৪ হাজার ৫৮৬ জনে।

এদিকে সার্বিক পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া ইরান ঋণসহায়তা চাইছে। করোনা মোকাবিলায় তাদের এ সহায়তা প্রয়োজন।

এ উদ্দেশ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইন্টারন্যশনাল মনিটরি ফান্ড’র (আইএমএফ) কাছে জরুরি ভিত্তিতে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

টেলিভিশনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রুহানি বলেন,আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে অনুরোধ জানাই এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে। আমরা আইএমএফ’র সদস্য ঋণসহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য কাম্য নয়।   

এর আগে মার্চ মাসের ১২ তারিখ ইরান করোনা মোকাবিলায় আইএমএফ’র কাছে ঋণসহায়তার অনুরোধ জানানোর ঘোষণা দেয়।  

সদস্য দেশ হওয়ার পরও ১৯৬০-১৯৬২ সালের এক ‘স্ট্যান্ডবাই ক্রেডিট’ ইস্যুর পর থেকে আইএমএফ থেকে কোনো সহায়তা পায়নি ইরান।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরান এই দুর্দিনেও দেশটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেন। এটিকে তিনি অর্থনৈতিক ও মেডিক্যাল খাতের সন্ত্রাসবাদ বলে অভিহিত করেন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ভাইরাসটিতে বুধবার দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত বিশ্বে ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮২ হাজার ১৪৮ জন। পাশাপাশি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ২ হাজার ৪৬৫ জন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থান আছেন ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪০ জন। তাদের মধ্যে ১০ লাখ ১ হাজার ৮০৯ জন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন। বাকি ৪৭ হাজার ৯৩১ জনের অবস্থা গুরুতর।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০ 
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।