শুধু ফারুক নন, বৃষ্টি পড়লে নগরের সব ভাসমান দোকানিদের চিন্তা বাড়ে। রমজান মাস হওয়ায় তাদের আয়ের উৎস ইফতার সামগ্রী।
ফারুক বাংলানিউজকে জানান, যেদিন বৃষ্টি হয় না, সেদিন ইফতার বিক্রি করে ৬-৭ হাজার টাকা আয় করেন। বৃষ্টি পড়লে অর্ধেকও পান না তিনি।
রোববার (২০ মে) বিকেল চারটা। তখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। দুঃখের নিশ্বাস ফেলে ফারুক বলেন, ‘আজও বৃষ্টি পড়ছে। এবারও আয় কম হবে। ’
কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে নিউমার্কেট চলে গেছে নূর আহমদ সড়ক। রাস্তার পাশে দেখা মেলে আরেকটি ভ্রাম্যমাণ দোকানের। নজু মিয়া নামে ওই ভ্রাম্যমাণ দোকানি পেঁয়াজু, ছোলা, আলুর চপসহ নানা ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। বুকে দুই হাত রেখে চোখ তার আকাশের দিকে।
তিনি বলেন, ‘গুঁড়ি গুঁড়ি এ বৃষ্টি কখন থামবে সেই অপেক্ষায় আছি। ’
‘এ দোকানের আয় দিয়ে পরিবার চালাই। দুই সন্তান বিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। কম টাকা আয় হলে তাদের খাওয়াবো কী? ঈদের নতুন জামাই বা দেব কীভাবে?’ যোগ করেন নজু মিয়া।
৪০ মিনিটের বৃষ্টিতে পাঁচলাইশ জলমগ্ন
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
জেইউ/টিসি