যথারীতি আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক, আগ্রাবাদ হোটেলের সামনে, কাতালগঞ্জ, চকবাজারসহ নগরের নিম্নাঞ্চলেও জলজটের সৃষ্টি হয় এ সময়।
রোববার (২০ মে) বিকেলে জলজট সৃষ্টি হওয়া সড়কগুলোতে হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে দেখা যায় প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ যানবাহনগুলোকে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাষ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রোববার বিকেল তিনটা পর্যন্ত পতেঙ্গায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি জানান, সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে জোয়ার এসেছিল। আবার জোয়ার আসবে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে।
জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) খুঁটি বসানোর জন্য মাটি খুঁড়ে ফেলা হয়েছিল পানি নামার পথে। এ কারণে হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে জামালখান সড়কে জলজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আমি নগর ভবনে মাসিক সাধারণ সভা থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পানি অপসারণের জন্য ওই মাটির স্তূপ সরিয়ে দিই। ১০ মিনিটের মধ্যে পানি নেমে যায়।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টির সঙ্গে যদি কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার থাকে তবে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে সরকার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) মাধ্যমে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আশাকরি, জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাবেন নগরবাসী।
আগ্রাবাদে জলাবদ্ধতা, নিরসনে এলাকাবাসীর ৫ দফা
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এআর/টিসি