ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো: সাকিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো: সাকিব সাকিব আল হাসান (ফাইল ফটো)

ঢাকা: আরো একটি বল বাকি থাকতেই লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানার বলকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে সীমানা পার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তখন কমেন্ট্রি বক্সে বসে থাকা ব্রেট লি যেন মুখ বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন। চাপকে জয় করে সীমানার বাইরে বল পাঠিয়ে যেভাবে রিয়াদ কলম্বো শহরকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন, সেটি মুহূর্তের জন্যে কল্পনার মতো মনে হচ্ছিল! তবে আসেল সেটি ঘটিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

বল সীমানা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেট লি বলছিলেন, অতুলনীয় শট। রিয়াদ দলকে জয় এনে দিয়েছেন।

অথচ সাকিব যে খেলা থেকে উঠে আসার কথা বলছিলেন!


২০তম ওভারের প্রথম দু'টি বলই বাউন্স দেওয়া হয়। অথচ প্রথম বলের পর বোলারকে একটি বাউন্সের কথা স্মরণ করিয়েতো দিলেনই না বরং উদানার দ্বিতীয় বলটির উচ্চতা ছিলো আরো বেশি। লেগে দাঁড়িয়ে থাকা আম্পায়ারের কথায় কর্ণপাত না করে স্ট্যাম্পে থাকা আম্বায়ার ‘নো’ বল দিলেন না। আবার এ বলেই রান আউট হয়ে ফিরেছেন মুস্তাফিজ।


টাইগারদের দরকার ৫ বলে ১২ রান। ঠিক তখনই একটা নো বল মানে একটা রান আর আরো একটি ফ্রি হিটের সুযোগ। এমন একটি বল আর রানের গুরুত্ব কাউকে বোঝাতে হয় না।


এমন সময় ঘটে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠের বাইরে থেকে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি রিয়াদ এবং রুবেলকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। তিনি বারবার জানতে চাইছিলেন, ‘নো’ বল কেন দেওয়া হলো না!’


তবে মাঠ ছেড়ে এলে এ টুর্নামেন্ট থেকে যেমন ছিটকে যেতো বাংলাদেশ, তেমনি সমালোচনা আর শাস্তির মুখেও পড়ার সম্ভাবনা থাকতো। অথচ খেলা চলাকালে আপিল ছাড়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলা আইসিসি'র কোড অব কন্ডাক্ট বিরোধী। লেভের এক বা দুইয়ের অধীনে ম্যাচ ফি কর্তন ছাড়াও পরবর্তী ম্যাচ না খেলতে দেওয়ার শাস্তি রয়েছে এ অপরাধের কারণে।


এতো বড় অন্যায় মেনে নিতে পারছিলেন না সাকিব। ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। পরের চারটি বল খেলার জন্যে রিয়াদ আর রুবেলকে আবারও ক্রিজে ফিরে যেতে বলেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।

নো বল না দেওয়ার অভিযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে যেমন রিয়াদ আম্পায়রকে জানিয়ে রাখতে পারতেন, তেমনি ম্যাচ আম্পায়ারের কাছে বা আইসিসি'র কাছেও অভিযোগ জানানোর বিষয় রয়েছে। সেটি না করে মাঠেই উত্তেজনা তৈরি করা ঠিক হয়নি বলে নিজেই জানিয়েছেন, সাকিব।

ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, অধিনায়ক হিসেবে আমার আরও সতর্ক থাকতে হবে। আগামীতে সতর্ক থাকবো।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মাঠের ভেতরের জিনিস মাঠে থাকা উচিত। আমরা খুবই ভালো বন্ধু। শুধু মাঠেই নয়, দুই ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্কটা অনেক ভালো। বিপদে-আপদে সবাই সবাইকে সহায়তা করে। শ্রীলঙ্কার অনেক খেলোয়াড় আমাদের লিগে খেলেন, বিপিএলে খেলেন। ওদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক। তবে মাঠে চাইবো আমার দল জিতুক। দলের জয়ের জন্য আমি যে কোনো কিছুই করতে পারি। আশা করি, দুই দল এভাবেই বিষয়টা নেবে। এটা মাঠের ভেতরই থাকবে।


বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
এমএন/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।