ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

চিটাগংকে হারালো খুলনা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
চিটাগংকে হারালো খুলনা ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চলমান বিপিএলের ১৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স এবং চিটাগং ভাইকিংস। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা ৫ উইকেটে হারিয়েছে বন্দরনগরীর দলটিকে।

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টস হেরে ব্যাট করা লুক রঞ্চির চিটাগং নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬০ রান।

জবাবে, ১৮.২ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইটান্স।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে নামে দুই দল। আগের ম্যাচগুলোতে চিটাগংকে নেতৃত্ব দেওয়া মিসবাহ একাদশে ছিলেন না। ব্যাটিংয়ে নেমে ভাইকিংসদের দলপতি ও ওপেনার লুক রঞ্চি ব্যক্তিগত ৩ রানেই বিদায় নেন। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো চিটাগং এগিয়ে যায় সৌম্য সরকার আর এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে। দলীয় ১০১ রানের মাথায় বিচ্ছিন্ন হন সৌম্য। তার আগে ৩৪ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে করেন ৩২ রান। তিন নম্বরে নামা এনামুল বিজয় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। ৪৭ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার আর তিনটি ছক্কায় তিনি করেন ৬২ রান।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসিকান্দার রাজা কোনো রান না করেই ফেরেন। তবে, ব্যাটে ছোটো ঝড় তুলেন স্টিয়ান ভ্যান জিল এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান। ২৯ বলে ৫০ রান তোলে এই জুটি। ভ্যান জিল ১৫ বলে ২টি ছক্কায় ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। নাজিবুল্লাহ ১৬ বলে ১টি চার আর ২টি ছক্কায় ২৪ রান করে শেষ ওভারে বিদায় নেন। শেষ ৫ ওভারে খুলনার বোলাররা ৫০’র বেশি রান দেন।

খুলনার জার্সিতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আবু জায়েদ ৪ ওভার বল করে ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ৩টি উইকেট। নিজের চতুর্থ বা শেষ ওভারে আরও দুটি উইকেট পেতে পারতেন আবু জায়েদ। দুটি ক্যাচ মিসের পর ওভারের শেষ বলে ছক্কা হজম করেন এই পেসার। নয়তো তার বোলিং ফিগারটা দেখার মতোই হতো। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। কাইল অ্যাবোট, শফিউল ইসলাম, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, সেকুজে প্রসন্ন কোনো উইকেট পাননি।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম১৬১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার ওপেনার মাইকেল ক্লিনগার ব্যক্তিগত ১ রান করে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার রিলে রুশো প্রথম থেকেই ভাইকিংস বোলারদের ওপর স্টিমরোলার চালান। ২৬ বলে ৫টি চার আর তিনটি ছক্কায় তিনি করেন ৪৯ রান। তিন নম্বরে নামা ধীমান ঘোষ ৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৯ রান।

দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর আরিফুল হক জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে টানতে থাকেন। মাহমুদুল্লাহ ৩৫ বলে ৪টি চার আর ১টি ছক্কায় ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। আরিফুল হক ২৪ বলে তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে করেন ৩৪ রান। ২ বল মোকাবেলা করে একটি চার আর একটি ছক্কায় ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন কার্লোস ব্রাথওয়েইট।

ভাইকিংসদের সিকান্দার রাজা, সানজামুল ইসলাম, আল আমিন, তানভীর হায়দার, তাসকিন আহমেদ একটি করে উইকেট পান। ক্রিস জর্ডান কোনো উইকেটের দেখা পাননি।

ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএর আগে চলতি আসরে ৫টি করে ম্যাচ খেলেছিল টাইটান্স-ভাইকিংস। ৫ ম্যাচের দুটিতে জিতলেও দুটি ম্যাচে হেরেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে হয়নি। ৫ পয়েন্ট অর্জন করেছে টাইটান্সরা। অপরদিকে, একটি জয় আর তিনটি হারে ভাইকিংসদের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। বৃষ্টির কারণে তাদেরও একটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছিল।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের কাছে হেরেছে নাসির হোসেনের সিলেট সিক্সার্স। তৃতীয় হারের স্বাদ পায় দলটি। টানা দুই হারের পর এক ম্যাচ জিতে ফের পরাজয়ের শিকার মুশফিক-স্যামির রাজশাহী জয়ে ফিরেছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেটের দেয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্যটা ৭ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখে টপকে গেছে কিংসরা।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।