ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মালয়েশিয়াকে আটকানো সম্ভব যদি…

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
মালয়েশিয়াকে আটকানো সম্ভব যদি… রাসেল মাহমুদ জিমি-ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাত্র চার দিন পরেই দেশে শুরু হবে বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড। সেখানে শক্তিশালী মালয়েশিয়াকে দিয়ে বাংলাদেশের শুরু হবে তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার মিশন। গ্রুপে সম্ভবত সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া।

র‌্যাংকিংও বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে দেশটি। তাদের র‌্যাংকিং ১৩।

আর বাংলাদেশের ৩২। বাকী দুটি দল ফিজি ও ওমান তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষই বলা যায়। তবে, মালয়েশিয়াকেও আটকানোর মন্ত্র আছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি।

বাংলানিউজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছে তিনি। পাশাপাশি দলের হয়ে যাওয়া ক্যাম্পেইন, অনুশীলন ও প্রত্যাশাও নিয়েছে জানান তিনি।

বাংলানিউজ: ক্যাম্পেইন খেলোয়াড়দের কোন দিক নিয়ে কাজ করা হয়েছে?

জিমি: ফিটনেস বাড়ানোর কাজ হয়েছে আগে। তারপর পূর্ববর্তী টুর্নামেন্টে আমাদের ভুলত্রুটি গুলো নিয়ে কাজ করেছি এবং টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়েও কাজ হয়েছে। ম্যাচে কোন ধরনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নামবো সেটারও কাজ হয়েছে। কোচের বিভিন্ন গেম প্লানিং নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে।

বাংলানিউজ: বিকেএসপিতে যে টার্ফে খেলেছেন সেটা একটু বেশি গতির টার্ফ। সেই তুলনায় মাওলানা ভাসানীর টার্ফটা একটু মন্থর। কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন?

জিমি: আমরা যেহেতু এ মাঠে খেলে অভ্যস্থ তারপরেও মাঠ পরিবর্তন হলে অনেক সময় অনেক সমস্যা হয়। তবে অনেকদিন পরে এখানে খেললেও আমরা অ্যাডজাস্ট করে নিয়েছি।

বাংলানিউজ: আপনাদের খেলার ধরনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে এমনটাই বলছেন কোচ অলিভার কার্টজ। কি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়েছে?

জিমি: এখন আমরা ইউরোপিয়ান হকি স্টাইলে খেলার চেষ্টা করছি। সেভাবেই কোচ আমাদের নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এই স্টাইলে খেলোয়াড়রা পাসিং ও বল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। যতক্ষণ নিজেদের দখলে বল থাকে ততক্ষণ অপর দল কিছু করতে পারে না। এর মাধ্যমে তাদের কৌশল জেনে যাওয়া যায়। সেভাবে আমরা দলের রক্ষণভাগ গুছিয়ে নিতে পারি।

বাংলানিউজ: ঘানার সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচে পাঁচটি পেনাল্টি কর্ণারের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। এটাকে কীভাবে নিচ্ছেন?

জিমি: অনেকসময় খেলোয়াড়দের খারাপ সময় যায়। এগুলোকে রিকোভার করতে পারলে তাদের মধ্যে স্পিরিট চলে আসে। পরবর্তী ম্যাচে প্রতিফলন পাওয়া যায়।

বাংলানিউজ: টানা ক্যাম্পেইন ও অনুশীলনের মাধ্যমে কি খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হয়ে গেছে। কোচও দুদিন আগে এই কথা বলেছেন। এটা কিভাবে দেখছেন?

জিমি: বিশ্রামতো অবশ্যই দরকার। তবে সামনে বড় টার্গেট আছে। আগেতো এমন প্রচুর টুর্নামেন্ট হতো না, তাই খেলোয়াড়রাও অনুশীলন করতো না। তাই ইনজুরিতে পড়তো। এখন টুর্নামেন্ট আছে সবাই চর্চার মধ্যে আছে। তাই ওটা মানিয়ে নিচ্ছি।

বাংলানিউজ: মালয়েশিয়া র‌্যাংকিংয়ে বেশ এগিয়ে আছে। তাদের বিপক্ষে কোনো নির্দিষ্ট কৌশল আছে কি দলের?

জিমি: প্রত্যেক ম্যাচের আগে সেভাবেই প্রস্তুতি নেই। হ্যা তারা ভালো দল। তবে আমরা আমাদের পুরো খেলাটা দিতে পারলে, কোচের নির্দেশনা মোতাবেক কৌশল কাজে লাগাতে পারলে তাদেরকে হারানো সম্ভব। প্রত্যেক খেলোয়াড় যদি নিজের সেরাটা দিতে পারে তাদের সাথে ভালো ফাইট দিবো আমরা।

বাংলানিউজ: বিশ্ব হকি লিগের দলের প্রত্যাশা কেমন?

জিমি: অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলবো। তবে আমাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে তৃতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হওয়া।

আগামী মাসের ৪ তারিখ শক্তিশালী মালয়েশিয়াকে দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড মিশন। পরের দিনই ফিজি ও ৭ মার্চ ওমানের সঙ্গে লড়বে জিমি-চয়নরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।