ঢাকা, বুধবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

খেলা

বোল্টের কৌশল কাজে লাগিয়েছেন মেজবাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৪, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
বোল্টের কৌশল কাজে লাগিয়েছেন মেজবাহ ১০০ মিটারে দেশের মাটিতে মেজবাহ টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন/ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিশ্বসেরা জ্যামাইকান গতিদানব উসাইন বোল্টের দৌঁড়ের কৌশল কাজে লাগিয়েই ৪০তম জাতীয় অ্যাথলেটিকে স্বর্ণ জয়ের কাজটি সহজ হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশের গতিদানব মেজবাহ আহমেদ।

ঢাকা: বিশ্বসেরা জ্যামাইকান গতিদানব উসাইন বোল্টের দৌঁড়ের কৌশল কাজে লাগিয়েই ৪০তম জাতীয় অ্যাথলেটিকে স্বর্ণ জয়ের কাজটি সহজ হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশের গতিদানব মেজবাহ আহমেদ। তিনি জানান, ‘বোল্টের কৌশল কাজে লাগিয়েই আমি জিতেছি।

শেষ ১৫ মিটার বোল্ট যেভাবে টেনে ছেড়ে দেয় আমিও সেভাবে করেছি। ’

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ৪০তম জাতীয় অ্যাথলেটিকে শিরোপা জয়ের কারণ হিসেবে এমনটিই জানান মেজবাহ। এদিন ১০.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে টানা পাঁচবারের মতো শিরোপা জিতলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই গতিদানব। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর তার পারফরমেন্স কিছুটা হতাশাজনক। কেননা গত বছর ১০.৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুলেছিলেন মেজবাহ।  

মেজবাহর চেয়ে ৭ সেকেন্ড বেশি সময় (১০.৭০ সে.) নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন আব্দুর রউফ। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তার প্রশংসা করতে এতটুকু দ্বিধা করলেন না তিনি, ‘সে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রথম আমার চ্যাম্পিয়ন হতে বেশি কষ্ট হলো। অন্যবার এতটা হয়নি। গতবারের তুলনায় এবার প্রতিদ্বন্দ্বী বেড়েছে। শেষ ১৫ মিটারের গতি বাড়াতে হয়েছে। আমরা দু’জন একসাথেই নৌবাহিনীতে অনুশীলন করেছি। আমাদের টাইমিংও কাছাকাছি। হিটে সে যে টাইমিং করেছে একই টাইমিং করে আমিও ফাইনালে উঠেছি। ’

১০০ মিটারে দেশের মাটিতে মেজবাহ টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার পারফরমেন্স মোটেও ভালো নয়। গত জুনে রিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন মেসবাহ। ১১.৩৪ সেকেন্ড সময়ে সেখানে তিনি হিটেই ছিটকে পড়েন। আর এ বছর সাফ গেমসে বিদায় নিয়েছিলেন চতুর্থ হয়ে। তাই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কি করলে বিশ্ব গেমসের আসরগুলোতে ভালো করতে পারবেন।

উত্তরে অনেকটা অভিযোগ করেই মেজবাহ জানালেন, ‘আমাদের দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলনের খুব অভাব। দীর্ঘ মেয়াদে অনুশীলন করলে আমাদের টাইমিং কমবে ও পারফরমেন্স বাড়বে। যেমন আমি সাফ গেমসে অল্পের জন্য চার নম্বরে চলে গেছি। যে প্রথম ও তৃতীয় হয়েছে সে অস্ট্রেলিয়াতে ট্রেনিং করেছে দুই বছর। যে দ্বিতীয় হয়েছে সে আমেরিকাতে ট্রেনিং করেছে দুই বছর। ওদের সাথে মেলাতে গেলে হবে না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।