ঢাকা: ক্রিকেটে উত্তরণ চায় কানাডা। এগিয়ে আসতে চায় সামনের সারির দেশগুলোর কাতারে।
বাংলাদেশ সফরে উইকেটের সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি স্পিনারদের সম্পর্কেও একটা ধারণা পেতে চায় দেশানায়েকের দল,“বাংলাদেশে বেশ ক’জন ভালো স্পিনার রয়েছেন। তাদের সঙ্গে খেললে সেটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে যথেষ্ট কাজে দেবে। ”
বাংলাদেশে দুটি প্রস্ততি ম্যাচে অংশ নেবে কানাডা। শনিবার স্বাগতিকদের সঙ্গে ছাড়াও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে তাদের। ম্যাচ দুটিতে আন্ডারডগ হিসেবে নামলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপহার দিতে চায় দেশানায়েরক দল।
১১ টেস্ট ও ১৬টি একদিনের ম্যাচের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লঙ্কান জাতীয় দলের এই কোচ বলেন,“ বিশ্বকাপের আগে সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি আমাদের জন্য একটা সুযোগ। আমরা সেটা কাজে লাগাতে চাই। পাশাপাশি অভিজ্ঞতা অর্জণের ব্যাপারতো রয়েছেই। ”
দল সম্পর্কে জানাতে গিয়ে দেশানায়েকে বলছিলেন,“আমাদের দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই নতুন। তিনজন বাদে প্রত্যেকেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে। তবে তরুণ খেলোয়াড়দের অনেকেই আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার। আশা করছি দেশের ক্রিকেটকে তারা একধাপ এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে। ”
কানাডায় ক্রিকেট তেমন জনপ্রিয় নয়। দলে অনেক প্রতিভা থাকলেও নিজেদের গণমাধ্যমে মেলে ধরার প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছে না। তাই কিছুটা আক্ষেপও আছে কোচের,“কানাডায় অনেক ক্রিকেট প্রতিভা ছড়িয়ে আছে। আমাদের একটা সমস্যা তাদেরকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছি না। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করার পরই তরুণদের থেকে ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচি নিয়েছিলাম। এদের মধ্যে অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলা এমন পাঁচ ক্রিকেটার আছেন তারা আইসিসির যে কোন পূর্ণ সদস্য দেশের খেলোয়াড়দের সমতুল্য। ”
বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে যথেষ্ট আস্থাশীল দেশানায়েকে,“দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সেটা অর্জণের সামর্থ্যও রয়েছে। তবে কিভাবে শুরুটা করতে পারবো সেটা একটা বিষয়। দলের ফিল্ডিং ও ব্যাটিং দিকটা বেশ ভালো। তবে বোলিংটাই আমাদের মূল শক্তি। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘন্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১