খাগড়াছড়ি: অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে ভর্তি হতে পারছিলেন না খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার সাইংগত্তলি পাড়ার শিক্ষার্থী উক্রাচিং মারমা। ঠিক সেই সময় পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা শুভসংঘ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার বন্ধুরা উক্রাচিং মারমার হাতে ভর্তির টাকা তুলে দেন। এতে তার উচ্চশিক্ষার পথে আর্থিক বাধা দূর হয়। আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি পিয়াপ্রু মারমা, সাধারণ সম্পাদক নিঅং মারমা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাচিংমং মারমা, প্রচারণা ও প্রকাশনা সম্পাদক রাপ্রুচাই মারমা (সিজি), কর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক নুনুপ্রু মারমা এবং সদস্য সালাঅং মারমা।
বসুন্ধরা শুভসংঘ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল সমন্বয়ক ও বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উয়ই সিং মার্মা বলেন, “শিক্ষা হলো উন্নয়নের চাবিকাঠি। কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীকে যেন অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ করতে না হয়, সে জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। ”
খাগড়াছড়ি জেলা শাখা বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি পিয়াপ্রু মারমা বলেন, “এ অঞ্চলের প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে স্বপ্ন জাগ্রত করতে এবং তাদের পাশে থেকে এগিয়ে যেতে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উক্রাচিং মারমার ভর্তি সহায়তা আমাদের সেই অঙ্গীকারেরই অংশ। ”
সাধারণ সম্পাদক নিঅং মারমা বলেন, ‘‘উক্রাচিং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজে সুযোগ পেলেও টাকা না থাকায় ভর্তি হতে পারছিলেন না। আমরা সর্ব প্রথম উক্রাচিং মারমার ভর্তি না হতে পারার ব্যাপারটা আমার বন্ধু সাচিংমংয়ের কাছ থেকে জানতে পারি। যেহেতু সাচিংমং আমাদের বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্য হিসেবে আছেন। তাই উক্রাচিংয়ের ভর্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করি আমরা তাকে ভর্তি করাব। তাই আজ বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে ভর্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। ’’
সাংগঠনিক সম্পাদক সাচিংমং মারমা বলেন, ‘‘উক্রাচিং অনেক গরিব ঘরের মেয়ে। মা দিনমজুরি করে সংসার চালান। বাবা নেই। ’’
সহায়তা পেয়ে উক্রাচিং মারমা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “অর্থাভাবের কারণে ভর্তি নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। বসুন্ধরা শুভসংঘ পাশে দাঁড়ানোয় আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারব। আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞ। ”
এসআই