জনরায়কে মূল্যায়ন করে অবিলম্বে পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) পদ্ধতিসহ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বরিশাল নগরীর টাউন হলে কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। প্রচলিত নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনরায় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। এজন্য জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান পিআর পদ্ধতির পক্ষে। পিআর হলে আর ১০টা হুন্ডা আর ২০টা গুন্ডার মাধ্যমে ভোটের ব্যবসা চলবে না। এ কারণেই কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী পিআর পদ্ধতি মেনে নিতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার, ভোটাধিকার এবং জনগণের মত অনুযায়ী দেশ পরিচালনার জন্য লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই জনরায়কে উপেক্ষা করে যদি ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের দিকে সরকার এগোয়, তাহলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের কাছে জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হোক—এটা আমরা চাই না। আমরা আশা করি, এই সরকার জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেবে এবং গুরুত্বপূর্ণ এই পাঁচ দফা দাবি মেনে নেবে।
এ দাবিগুলোর পক্ষে রোববার প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এতে বরিশালের সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান অধ্যক্ষ বাবর।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, মহানগর নায়েবে আমির অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন দুলাল, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, তারিকুল ইসলাম, মহানগর শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুর রহমান সুজন ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, শামীম কবির, জাফর ইকবাল, মাহফুজুর রহমান আমিন, কাউনিয়া থানা আমির মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানসহ দলের মহানগর নেতারা।
সমাবেশ শেষে বিশাল গণমিছিলটি টাউন হল চত্বর থেকে শুরু হয়ে সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ, চকবাজার ও লাইন রোড প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
এমএস/এসআইএস